ভূমিকা ইন্টারনেট ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং পেশা এখন সারা বিশ্বে সুপরিচিত ও আলোচিত। ফ্রিল্যান্সিংকে গুরুত্ব সহকারে বিচার বিবেচনা করার সময় চলে এসেছে। এরই মধ্যে এই পেশাটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার অর্জনের পাশাপাশি একটি বিলিয়ন ডলারের আয়ের খাতে পরিনত হয়েছে। পেশা হিসাবে একে অনেকেই বেচে নিচ্ছেন, পছন্দ ও ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে আয়ও করছেন। এর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই, বাড়বেও। অনেকদিন ধরেই, অন্যান্য দেশের মত, বাংলাদেশেও অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহ দেখিয়েছেন যাদের বেশীর ভাগই তরুন। তবে, তাদের সে আগ্রহ ও উত্তেজনাই দিন দিন পুন্জীভূত হতে হতে, ফ্রিল্যান্সিংকে এখন অনেকেই পেশা হিসাবে বিবেচনা করছেন যা আমাদের দেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উ্মোচন করেছে। এই অভিনব পেশাটিতে যুক্ত হয়ে এদেশের অনেকেই নিজেদের ভাগ্যবদলের পাশাপাশি অবদান রাখছেন বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে। এদেশের তরুনরাই এখন এই খাতে আমাদের প্রতিনিধি। প্রথমদিকে এ সম্পর্কে তথ্যাদি এবং সঠিক দিক নিদের্শনার ঘাটতি থাকলেও একদল উৎসাহী তরুন এই খাতটিতে কাজ করার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতার অজির্ত জ্ঞান সবার কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যমে সে ঘাটতি অনেকটাই পূরন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের প্রতিনিধি হিসাবে পার্থ সারথি কর তার বইয়ে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনাসহ বিস্তারিত তুলে ধরেছে। নতুনদের জন্য এরকম একটি তথ্যবহুল বইয়ের খুব প্রয়োজন ছিল।যে আগ্রহী তরুনরা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসাবে বেচে নিতে চান, তাদের জন্য বইটি খুবই সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস । পাশাপাশি সে এ পেশায়, এদেশের কিছু সফল ও ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিচিত ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যাক্তাদের বক্তব্য বইটিতে যুক্ত করেছে যা নতুনদের অনুপ্রেরনার উতস হিসাবে কাজ করবে বলে আশা করছি।
মুনির হাসান সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ গনিত অলিম্পিয়াড www.munirhasan.com
লেখকের কথা:
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বাংলায় বিক্ষিপ্তভাবে লেখা-প্রবন্ধ থাকলেও এ বিষয়ে এখনও কোন পূর্নাঙ্গ বই লিখা হয়নি। সে অভাবটিকে পূর্নতা দেয়ার একটি পরিশ্রমসাধ্য প্রয়াস বলা যেতে পারে এই বইটিকে। আধুনিক জীবনধারায় ফ্রিল্যান্সিং একটি নতুন পেশার সংযোজন করেছে। সত্যিকার অর্থে এই পেশাটি কি , কিভাবে এই পেশায় সফল হতে পারেন, এর ভবিষ্যতইবা কি, জীবনের বিভিন্ন অবস্থা থেকে কিভাবে এই পেশায় জড়িত হওয়া যায় আবার এই পেশা থেকেই কিভাবে এগিয়ে গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করা যায় ইত্যাদি এ বইয়ে আলোচনা করেছি। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারব বলে মনে করেছি সেগুলো দেয়ার চেষ্টা করেছি আবার কিছু ক্ষেত্রে সেবিষয়ে অভিজ্ঞদের দিক নিদের্শনা তুলে ধরেছি। এছাড়াও এই পেশায় আমাদের দেশে সফল এমন কয়েকজন উদ্যাক্তা ও ফ্রিল্যান্সারের বিভিন্ন বক্তব্য সংযোজন করেছি। সবশেষে, একক ফ্রিল্যান্সার থেকে একটি টিমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চাইলে কি কি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে, সে সম্পর্কে রয়েছে একজন অভিজ্ঞের বিস্তারিত গাইডলাইন।
সূচিপত্র:
ফ্রিল্যান্সিং কি?
শুরুর জন্য প্রাথমিক চিন্তাভাবনা: • আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য তৈরি • প্রোডাক্ট বেইজড নাকি সাভির্স বেইজড • আপনি যদি পড়াশোনায় থাকেন তাহলে কিভাবে শুরু করবেন • পার্টটাইম করবেন নাকি ফূলটাইম করবেন • জব ছেড়ে ফূলটাইম ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে কি বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে • কখন আপনি একক ফ্রিল্যান্সার থেকে একটি কোম্পানী শুরু করার চিন্তা করতে পারেন
লেখক পার্থ সারথি কর-এর ’হতে চাইলে সফল ফ্রিল্যান্সার’ প্রযুক্তি বিষয়ক দ্বিতীয় বই। প্রথম বইটি ’নবীনদের জন্য জুমলা ভিজুয়ার গাইড’ বইমেলা ২০১২-তে প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে । প্রযুক্তির প্রতি কৌতূহলী দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদার মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভার্চুয়াল জগতে তার পরিচিতি । তাছাড়াও নতুন কিছু করার এবং প্রযুক্তিকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মজীবনে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লেখকের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের উদীয়মান ফ্রিল্যান্সারদের ধারণা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে । সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক পড়াশোনা করা লেখক ছাত্রাবস্থা থেকেই প্রযুক্তিবিষয়ক লেখালেখি, ম্যাগাজিন সম্পাদনা, ব্লগিং, ইত্যাদি বিষয়ের সাথে সরাসরি যুক্ত আছেন । এবং তিনি বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের একজন সক্রিয় সদস্য ।