Close
  • Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
  • Look inside image 6
  • Look inside image 7
  • Look inside image 8
  • Look inside image 9
  • Look inside image 10
তৃষ্ণা image

তৃষ্ণা (হার্ডকভার)

জহির রায়হান

TK. 120 Total: TK. 95
You Saved TK. 25

21

তৃষ্ণা

তৃষ্ণা (হার্ডকভার)

43 Ratings  |  25 Reviews
wished customer count icon

265 users want this

“তৃষ্ণা”বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ
একটি সুন্দর সকাল।
বুড়াে রাত বিদায় নেবার আগে বৃষ্টি থেমে গেছে। তবু তার শেষ চিহ্নটুকু এখানে-সেখানে ছড়ানাে। চিকন ঘাসের ডগায় দু-একটি প... See more

TK. 120 TK. 95 You Save TK. 25 (21%)
in-stock icon In Stock (only 4 copies left)

* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন

কমিয়ে দেখুন
tag_icon

বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!

book-icon

Cash On Delivery

mponey-icon

7 Days Happy Return

Online Banijjo Mela 25 image

Frequently Bought Together

তৃষ্ণা image

তৃষ্ণা

TK. 120 TK. 95

plus icon plus icon equal icon
Total Amount: TK. 451

Save TK. 119

Similar Category eBooks

বইটই

Product Specification & Summary

“তৃষ্ণা”বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ
একটি সুন্দর সকাল।
বুড়াে রাত বিদায় নেবার আগে বৃষ্টি থেমে গেছে। তবু তার শেষ চিহ্নটুকু এখানে-সেখানে ছড়ানাে। চিকন ঘাসের ডগায় দু-একটি পানির ফোঁটা সূর্যের সােনালি আভায় চিকচিক করছে। চারপাশে রবিশস্যের ক্ষেত। হলদে ফুলে ভরা। তারপর এক পূর্ণ-যৌবনা নদী। ওপারে তার কাশবন। এপারে অসংখ্য খড়ের গাদা।
ছেলেটির বুকে মুখ রেখে খড়ের কোলে দেহটা এলিয়ে দিয়ে ; মেয়েটি ঘুমােচ্ছে। ওর মুখে কোনাে অভিব্যক্তি নেই। ঠোটের শেষ সীমানায় শুধু একটুখানি হাসি চিবুকের কাছে এসে হারিয়ে গেছে। ওর হাত ছেলেটির হাতের মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ধরে রাখা। দুজনে ঘুমােচ্ছে ওরা। ছেলেটিও ঘুমিয়ে ।
তার মুখে দীর্ঘপথ চলার ক্লান্তি। মনে হয় অনেকক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজেছিলাে ওরা। চুলের প্রান্তে এখনাে তার কিছু রেশ জড়ানাে রয়েছে। সহসা গাছের ডালে বুননাপাখির পাখা ঝাপটানাের শব্দ শােনা গেলাে। মটরশুটির ক্ষেত থেকে একটা সাদা ধবধবে খরগােশের বাচ্চা ছুটে পালিয়ে গেলাে কাছের অরণ্যের দিকে।
খড়ের কোলে জেগে উঠলাে অনেকগুলাে পায়ের ঐকতান। সমতালে এগিয়ে এলাে ওরা। যেখানে, ছেলেটি আর মেয়েটি এই পৃথিবীর অনেক চড়াই-উত্রাই আর অসংখ্য পথ মাড়িয়ে এসে অবশেষে এই স্নিগ্ধ সকালের সােনা-রােদে পরস্পরের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাে।
ভালােবাসি। বলেছিলাে। এই রাত যদি চিরকালের মতাে এমনি থাকে, এই রাত যদি আর কোনােদিন ভাের না হয় আমি খুশি হবাে। বলেছিলাে। ওই-যে দূরের তারাগুলাে, যারা মিটিমিটি জ্বলছে তারা যদি হঠাৎ ভুল করে নিভে যেতাে, তাহলে খুব ভালাে হতাে। আমরা অন্ধকারে দুজনে দুজনকে দেখতাম।
বলেছিলাে। হয়তাে কিছুই বলেনি ওরা। শুধু শুয়েছিলাে। আঠারাে-জোড়া আইনের পা ধীরেধীরে চারপাশ থেকে এসে বৃত্তাকারে ঘিরে দাঁড়ালাে ওদের। ওরা তখনাে ঘুমুচ্ছে। তারপর। আমার কোনাে জাত নেই।
মাংসল হাতজোড়া ভেজা টেবিলের ওপর ছড়িয়ে দিয়ে বুড়াে আহমদ হােসেন বললাে, আমার কোনাে জাত নেই। আমি না-হিন্দু, না-মুসলমান, না-ইহুদি, না-খৃষ্টান। আমায় জাত তুলে কেউ ডেকেছাে কি এক ঘুষিতে নাক ভেঙে দেবাে বলে দিলাম।
Title তৃষ্ণা
Author
Publisher
ISBN 9789844042728
Edition 5th Print, 2016
Number of Pages 48
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

4.28

43 Ratings and 25 Reviews

5

24

4

10

3

7

2

1

1

1

sort icon

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ _প্রতিযোগিতা
২০১৯ মে মাস

তৃষ্ঞা।
জহির রায়হান
অনুপম প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্য:৮০ টাকা।
প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ।
কাহিনীসংক্ষেপ:
উপন্যাসটি মূলত শওকত এবং মার্থা গ্রাহাম'কে নিয়ে।শওকত একজন ব্যর্থ মানুষ।যার চোখে কোনো স্বপ্ন নেই,ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।অন্যদিকে মার্থা এক দারুন স্বপ্নবাজ মহিলা।
শওকত মার্থাকে অনেক আগেই থেকেই চিনতো।তা প্রায় ওর বয়স যখন এগারো বারো বছর হবে, তখনকার কথা।মার্থা যখন রোজ বেকারীতে এসে রুটি কিনে নিয়ে যেতো তখন থেকে মার্থাকে চিনতো শওকত।তখন অনেক সুন্দর দেখাতো মার্থাকে।গুণগুণ করে গান গাইতো।খুব চটপট ধরনের মেয়ে ছিলো মার্থা।সবাই ওকে দেখে অবাক হতো।তারপর একদিন পিটার গোমস নামে এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায় মার্থার।তারপর একদিন মার্থার মা এসে বলে,"মার্থা মারা গেছে।"তাহলে ও কোথা থেকে আসলো?
এরই মাঝে শওকত ও মার্থার মাঝে দারুন এক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়।তারা ধীরে ধীরে গভীর ভালোবাসায় ডুব দিতে শুরু করে।শওকত'কে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখতো মার্থা। মার্থা কাজ করতো এক রাতকানা লোকের ওষুধের দোকানে।
ঘর বাধার স্বপ্ন পূরনের লক্ষে মার্থা জড়িয়ে পড়তে শুরু করে অবৈধ আয়ের পথে।যার দরূন তার জীবনে এক অভূতপূর্ব বাঁক এসে পড়ে।
গল্পের শেষটায় শওকতের বুকে মাথা রেখে,কোলে গায়ে এলিয়ে ঘুমিয়ে থাকে কেউ একজন।যার ঠোঁটে কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে।
কিন্তু কে এই নারী!বাকিটুকু জানার জন্য আপনাকে ডুব দিতে হবে উপন্যাসে।
পাঠপ্রতিক্রিয়া:বইটা এক বসাতে শেষ করেছি।বইটি পড়ার সময় কোনোরকম ধৈর্যহারা হতে হয় নি।লেখক অল্প পরিসরে সমাজের একাংশ খুব সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন।উপন্যাসে সমাজের কিছু অনৈতিক কার্যকালাপের কথাও তুলে ধরেছেন লেখক।যেমন:পরকীয়া,বহু বিবাহ,বউ পেটানো,অবৈধ সম্পর্ক,দেহ ব্যবসা।
উপন্যাসে আরেকটি চরিত্র ছিলো যার নাম "বুড়ো আহমদ।"লেখক মূলত তাকে দিয়েই সমাজের নানা অনৈতিক কাজকর্ম তুলে ধরেছেন।
তবে আপনি বইটির শেষটুকু পড়ে রীতিমতো ভড়কে যাবেন।শেষ কয়েকটি লেখার মাঝে লেখক যে গল্পের এত বড় এক মোড় নিয়ে আসবেন তা কল্পনাতীত ছিলো।
আমি হলফ করে বলতে পারি...বইটি পড়ে সময় এবং অর্থ কোনোটিই বিফলে যাবে না।
জহির রায়হানের প্রত্যেকটা লেখাই অনবদ্য।
আফসোস!আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো বাংলা সাহিত্যে তার আরো অনেক সৃষ্টি রেখে যেতে পারতেন।
রেটিং:৯.৫/১০।

Read More

Was this review helpful to you?

জহির রায়হানের অনবদ্য এক উপন্যাস। ঠিক যেখান শুরু হয়েছিল তৃষ্ণা, ঠিক শেষ হয়েছে সেখানে এসে। এর মাঝে ছিল অস্থিরতায় ভরা কছু জীবন, টানাপোড়ন। মাতলামি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, পরকীয়া, দেহব্যবসা, প্রেম, সামাজিকতার অত্যাচার লেখক সবকিছুকে হাজির করেছেন একই মঞ্চে। ছিল নায়ক শওকতের কাপুরুষতা, আর নায়িকা মার্থার স্বপ্ন দেখার শক্তি। আহ মার্থা, তোর জন্য আমার বড্ড বেশি কষ্ট লাগছে।

এই তৃষ্ণা আনন্দের, এই তৃষ্ণা যন্ত্রনার। গল্পের বিশেষ চরিত্র, বুড়ো আহমদ হোসেনের কন্ঠে বলি "এটাও একটা রোগ বুঝলে? এক রকমের ক্ষুধা। একজনকে অনন্তকাল ধরে একান্ত আপন করে পাওয়ার অশান্ত ক্ষুধা। ঈর্ষা থেকে এর জন্ম। ঈর্ষায় এর মৃত্যু। এই ব্যাটারা কবিতা পড়ে না বলেই এদের অধঃগতি। মনে নেই সে কবিতাটি? সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। আবার সেই হাসি। কালচে দাঁতের ফাঁকে হাসছে বুড়ো আহমদ হোসেন।"

Read More

Was this review helpful to you?

জহির রায়হানের লেখা আমার খুব প্রিয়। হার্ড কভারগুলো সুন্দর।অর্ডারের ৩ দিনেই ডেলিভারি পাইছি। ধন্যবাদ রকমারি।

Read More

Was this review helpful to you?

তৃষ্ণা - কিছু কল্পনা আর কিছু পাওয়ার তৃষ্ণা।
হরেকরকম মানুষের হরেক রকমের তৃষ্ণা।

Read More

Was this review helpful to you?

ঠিক সময়ে বইটি পেয়ে অনেক আনন্দিত।

Read More

Was this review helpful to you?

Excellent

Read More

Was this review helpful to you?

Nice Book

Read More

Was this review helpful to you?

অসাধারণবই

Read More

Was this review helpful to you?

দারুণ!

Read More

Was this review helpful to you?

সুন্দর

Read More

Was this review helpful to you?


বইয়ের নামঃ তৃষ্ণা
লেখকঃ জহির রায়হান
ভাষাঃ বাংলা
ঘরনাঃ চিরায়ত উপন্যাস
বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ৪৮
বিনিময় মূল্য – ৭২ টাকা
প্রকাশনীঃ অনুপম
ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪.৭/৫

“হারিকেনটা টেবিলের উপর রেখে দিয়ে বললো, রুটিটা খেয়ে নিন। হাতমুখ ধুয়ে অনেকটা সজীব হয়ে এসেছে মার্থা। গায়ের রঙটা কালো। তেলতেলে। টানা টানা একজোড়া চোখ। হালকা ছিমছাম দেহ। তাকালে মনেই হয়ে না যে, ওর বয়স তিরিশের পা ঘেঁষে এসে দাঁড়িয়েছে। কালো মুখের ওপর পাউডারের হালকা প্রলেপ বুলিয়েছে সে। ঠোঁটের কোলে ঈষৎ লাল লিপস্টিক। হাত কাটা গাউন পরেছে মার্থা। সোনালি চুলগুলো কাঁধের দু-পাশে ছড়ানো, প্লেট থেকে রুটির টুকরোটা ওর হাতে তুলে দিলো মার্থা।”

অনবদ্য, দৃষ্টিনন্দন।
এতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বর্ণনা, রুপের সৌন্দর্য্য আর প্রেমময় অনুভূতি.... মার্থাকে যেন আমি চোখের সামনে অনুভব করতে পারছি এখনো।

উপরের সৌন্দর্যময় কথাগুলো প্রিয় লেখক জহির রায়হানের, তাঁর তৃষ্ণা উপন্যাসের কিছু অংশ। ঠিক যেখানে শুরু হয়েছিল তৃষ্ণা, ঠিক শেষ হয়েছে সেখানে এসে। এর মাঝে ছিল অস্থিরতায় ভরা কছু জীবন, টানাপোড়ন। মাতলামি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, পরকীয়া, দেহব্যবসা, প্রেম, সামাজিকতার অত্যাচার লেখক সবকিছুকে হাজির করেছেন এক মঞ্চে, এক গল্পে।

উপন্যাসে লেখক সমাজের কয়েকটি জৈবিক দিক তুলে ধরেছেন; যেমন পরকীয়া, অবৈধ সম্পর্ক, দেহ ব্যবসা ইত্যাদি ইত্যাদি। উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের নাম শওকত। একজন বেকার মানুষ। এবং সেই সাথে তার কাপুরুষতার লক্ষন সুস্পষ্ট। সে একটি ঘন বসতি সম্পন্ন এলাকায় থাকে।

শওকতের সেই এলাকায় ‘মার্থা’ নামের এক নারীর সাথে পরিচিত হয়, যদিও মার্থা শওকত এর পূর্বপরিচিত। তাদের সম্পর্ক গাড় হতে হতে পরকীয়ার রূপ নিতে থাকে।
অপরূপ সৌন্দর্য্য এঁকে দিয়ে লেখক বর্ণনা করে দিয়েছেন প্রতিটি খুঁটিনাঁটি ঘটনাকে, সম্পর্কগুলো অনুচ্ছেদকে এগিয়ে নিয়েছেন উচ্চে।

একপর্যায়ে মার্থা-শওকত দু’জনে স্বপ্নের জাল বুনতে আরম্ভ করে। তাদের একটি সংসার হবে, একটা ছোট্ট বাড়ি থাকবে, একটা ছোট্টও দোকানও থাকবে। তাদের কোল জুড়ে থাকবে একটি ফুটফুটে শিশু। এই জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে টাকা আয় করার জন্যে। হোক সেটা সৎ পথে, কিংবা অসৎ পথে।

তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন নর্তকী সেলিনা, বউ পেটানো কেরানী, কিছু জুয়া খেলোয়ার অন্যতম। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ চরিত্র উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়, যার নাম ‘বুড়ো আহমদ হোসেন’।

নিজের কাছে এই বুড়োকে এক রহস্য বলে মনে হয়েছে! লক্ষ্যণীয় ব্যাপারটি হলো, লেখক এই বুড়ো মানুষের মাধ্যমে সমাজের বেশকিছু অনৈতিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।

নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়া বলতে গেলে জহির রায়হান অনন্যসাধারণ ভাষাশৈলীর কথা প্রথমে উঠে আসবে।

দুজন ব্যর্থ মানুষের কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে এই উপন্যাসটি।

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শওকত ও একটি খ্রিস্টান মেয়ে মার্থা।

শওকত একজন ব্যর্থ মানুষ। যে মানুষটির কোন স্বপ্ন নেই কোন লক্ষ নেই। নেই এই বৃহৎ সংসারের প্রতি কোন মায়া। অপরদিকে মার্থা চরম আশাবাদী একজন মহিলা। যে কিনা শওকতকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।

কাহিনি শেষের দিকে মার্থা টাকার আয় বাড়ানোর জন্য তার দোকান থেকে ঔষধ বিক্রি করতে থাকে, সেখানে পুলিশের আগমন হয়।
সেসময় শওকত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলো।

আর, একদম শেষাংশে একটি অকল্পনীয় ঘটনা লক্ষ করা যায়। খুন করে ছুটে পালিয়ে যাবার সময় শওকত দেখতে পায় নর্তকী সেলিনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার কীর্তিকলাপ দেখছে।

নিজেকে গা ঢাকা দেবার জন্য শওকত যখন ছুটে পালাচ্ছিল, তখন শুধু যাবার সময় সেলিনার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিল। এরপর?

অনবদ্য এই সাহিত্যকর্ম পড়ার জন্য প্রতিটি বইপ্রেমীকে, পাঠককে নিজ নিজ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি......

Read More

Was this review helpful to you?

#বই : তৃষ্ণা
#লেখক : জহির রায়হান
#প্রকাশনী : অনুপম প্রকাশনী
#প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
#পৃষ্ঠা : ৪৮
#মূল্য : ৮০.০০ টাকা মাত্র
#রেটিং : ১০/১০

গল্পের প্রধান দু'চরিত্র শওকত এবং মার্থা। শওকত একজন ব্যর্থ মানুষ। যার কোনো স্বপ্ন নেই, উদ্দেশ্য নেই। নেই কোনো সংসার নিয়ে চিন্তা। অপরদিকে মার্থা দারুণ স্বপ্নবাজ একজন মহিলা। যে কিনা শওকতকে নিয়ে সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখে।

রাস্তায় বেরিয়ে এসে একবার আকাশের দিকে তাকালো শওকত। একখানা যাত্রীবাহী বিমান প্রচণ্ড শব্দ করে উড়ে চলেছে পোতাশ্রয়ের দিকে। এক্ষুণি নামবে। তার শব্দ বিলীন হয়ে যাওয়ার আগেই কে যেন পাশ থেকে ডাকলো। বাড়ি যাবেন নাকি?
শওকত চেয়ে দেখলো, মার্থা গ্রাহাম। মার্থা একটা রিকশায় বসে। শওকতকে দেখে ওটা ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছে সে। ওর হাতে একটা পাউরুটি আর ছোট একটা চায়ের প্যাকেট।...
লেখক মার্থা এবং শওকতের প্রথম সাক্ষাতটা এখানে দিলেও মার্থাকে অনেক আগ থেকেই চিনে শওকত। সেই কবে, কতদিন আগে, আজ মনেও নেই। হয়তো সাত-আট বছর হবে। কিংবা এগারো-বারো। দেখতে তখন অনেক সুন্দরী ছিল মার্থা। রোজ সন্ধ্যেবেলা বেকারীতে রুটি কিনতে আসতো। তখন থেকে ওকে চেনে শওকত। সেইসময় ওর সঙ্গে আলাপ পরিচয় হয়। মার্থা কখনও কখনও তার মায়ের সাথে আসতো। কখনও আসতো একা। যেদিন একা আসতো, সেদিন ওকে দেখে সবাই অবাক হতো। দারুণ চটপটে একটা মেয়ে। কথা বলতো, গুনগুন করে গানের কলি ভাঁজতো। আর দুষ্টিমি ভরা দৃষ্টি নিয়ে এদিক সেদিক তাকাতো। তারপর একদিন পিটার গোমস নামের একজন ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়ে যায় মার্থার। ও সুখেই ছিল লোকটার সাথে। এর মধ্যে মার্থার মা একদিন বেকারীতে রুটি কিনতে এসে হু হু করে কেঁদে বললো, মার্থা মারা গেছে। তারপর একদিন মার্থাকে দেখে ভীষণ অবাক হলো শওকত। মার্থা নাকি মারা গেছে, তাহলে সে কোথায় থেকে আসলো? মার্থার মায়ের কথাটি কি মিথ্যে ছিল তবে? কেন মিথ্যে বলেছেন উনি? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে গিয়ে আপনি দারুণ অবাক হবেন মার্থা আর মার্থার মায়ের জীবন নিয়ে।

শওকত রিকশায় ওঠে বসে। তাদের মধ্যে একপর্যায়ে দারুণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আপনি থেকে তুমিতে আসে ওরা। মার্থা রাতকানা একটা লোকের ওষুধ দোকানে চাকরি করে। মার্থা বেকার শওকতকে যতদিন পর্যন্ত চাকরি না পায়, একসাথে খাওয়ার অনুরোধ করলো। এভাবে তারা একে অন্যের সাথে দারুণভাবে মিশে যায়। মিশতে মিশতে তারা সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখে। তারা নিজেদের মতো করে বাসা খোঁজে।

কিন্তু, গল্পের শেষটা পড়লে আপনি ভীষণরকম আশ্চর্য হবেন।
শওকতের বুকে মুখ রেখে, খড়ের কোলে দেহটা এলিয়ে দিয়ে মেয়েটা ঘুমোচ্ছে। ওর মুখে কোনো অভিব্যক্তি নেই। ঠোঁটের শেষ সীমানায় শুধু একটুখানি হাসি চিবুকের কাছে এসে হারিয়ে গেছে। ওর হাত শওকতের হাতের মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ধরে রাখা। দুজনে ঘুমোচ্ছে ওরা।
মেয়েটা মার্থা নয়, তবে কে? আর মার্থার কী হলো? জানতে অবশ্য দারুণ এই বইটি আপনাকে পড়তে হবে।

এই উপন্যাসে লেখক সমাজের কয়েকটি খারাপ দিকের কথা তুলে ধরবার চেষ্টা করেছেন। যেমন পরকীয়া, বহু বিবাহ, অবৈধ সম্পর্ক, দেহ ব্যবসা, বউ পিটানো ইত্যাদি। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ চরিত্র উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়, যার নাম “বুড়ো আহমদ হোসেন।” মূলত লেখক এই বুড়ো মানুষের মাধ্যমেই সমাজের অনেক অনৈতিক বিষয়বস্তু দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।
রিভিউ লিখেছেনঃ সুভিয়ান অভি

Read More

Was this review helpful to you?


আমার মাঝে তোমার লীলা হবে,
তাই তো আমি এসেছি এই ভবে।
আনন্দময় তোমার এ সংসার
আমার কিছু আর বাকি না রবে।
---------------- রবি ঠাকুর



#কাহিনী_সংক্ষেপ__

শওকত! বেকার! তবে আগে বেকার সে ছিল না। কাজ করেছে বেশ অনেক জায়গায় উগ্র ব্যবহারের জন্য আবার বেকার। এই অবস্থায় নিজের খরচ চালানো দুরুহ প্রায়। থাকে এক কলোনীতে। চরপাশে ঘিঞ্জি আর ঝগড়া। সেই কলোনীতেই আবার থাকে এক ডিভোর্সি মেয়ে।খ্রিস্টান। মার্থা। প্রাক্তন স্বামীর বন্ধুর হাত ধরে ওঠে আসা এই কলোনীতে। কিন্তু সেও ফেলে চলে যায়। একদিকে শওকত একদম নির্জীব, ভাবলেশহীন। অন্যদিকে মার্থা প্রচন্ড আশাবাদী। শওকতের দুর্দিনে মার্থা তার পাশে এসে দাঁড়ায়। এভাবে, এই মার্থা আর শওকতের মাঝে প্রেম হয়ে যায়। স্বপ্ন এই ঘিঞ্জি কলোনী ছেড়ে চলে যাবে দুরে কোথাও। কিন্তু টাকা ? শওকত বেকার, মার্থা ডিসপেনসারিতে কাজ করে। খুব আয় যে তা নয়। তবুও স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখতে তো আর মানা নেই।

কলোনীটা খুবই ঘিঞ্জি। মদখোর, জুয়ারি, ঠিকেদার, নাচনেওয়ালি সেলিনা, কেরানি সহ নানান পেশার মানুষের বাস। চারদিকে শোরগোল লেগেই আছে। এসবের মাঝে বাঁচা চলে না। তবুও তারা দাঁত কামড়ে পড়ে থাকল। কারণ রুজি নেই।

তারপর ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটে গেল। খুন, চুরি, পুলিশ, পালানো, প্রেম, উত্তাল যৌবনে ছটফটা সেলিনা আর কিছু আশা, আর কিছু স্বপ্ন ভঙ্গ। অতঃপর গ্রন্থিমোচন । "দু'জনেই ঘুমাচ্ছে।আঠারো জোড়া আইনের পা তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো।" কারা সেই দুজন? কেনই বা তাদের পরিণতি? আর শেষটা ঠিক কেমন?



#প্রতিক্রিয়া

বাক্যবিন্যাস খুবই মেপে মেপে করা। লেখক কোনোমতেই অতিবর্ণনাতে যাননি। প্লটটা সুন্দর। মধ্যবিত্তদের নিয়ে লেখা অনেক আছে কিন্তু এমন ছোট আকারে এমন লেখা চোখে পড়া ভার। প্রুফ রিডিং বেশ ভালো ছিল। শুরুতেই বলা হয়েছে "আঠারো জোড়া আইনের পা তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো।" শুরুতেই এরকম একটা ম্যাজিক বাক্য দিয়েছেন যা পুরো গল্পের শেষ পর্যন্ত না গেলে বোঝা যাচ্ছে না। আকর্ষনটা বাড়তে থাকে শেষ পর্যন্ত।

চরিত্রগুলোর প্রতি লেখক আরেকটু ফোকাস করতে পারতেন। চরিত্রগুলোর জন্য আমার মনে হয়েছে বর্ণনার ঘাটতি আছে। তাছাড়া শুরুর তিন চার পেইজ পরে গল্পের প্রবাহ খুব বেশি ধরনের ফল করেছে আবার কিছুদুর গিয়ে চট করে ট্র্যাকে চলে গেছে। ওই অংশটা আরেকটু ভালো করা যেত। তাছাড়া ওই জায়গায় লেখক কিছু স্পর্শকাতর জিনিস নিয়ে বলেছেন। যা হয়ত ভালো লাগবে না পাঠকের।

জহির রায়হান বেশ ধরে ধরে প্লটটা তৈরি করেছেন। ছোট ছোট ঘটনাগুলোকে তিনি যুক্ত করেছেন এক গল্পে। সেখানেও আরেকটু সতর্ক হওয়া জরুরী ছিল। সে যাই হোক, জহির রায়হানের খুব বেশি লেখা পড়া হয়নি। তবে উনার লেখার গভীরতা আচ করতে পেরেছি। তবে আরেকটু উপমার ব্যবহার গল্পটাকে আরো অনেকটা আকর্ষনীয় করতে পারত।

Read More

Was this review helpful to you?

***বুক রিভিউ***
***বইয়ের নাম---তৃষ্ণা**
***লেখক---জহির রায়হান**
***প্রথম প্রকাশ-১৯৬২সালে**

"তৃষ্ণা" জহির রায়হান রচিত একটি অনবদ্য প্রেমের উপন্যাস। উপন্যাসটিতে লেখক অতি স্বল্প পরিসরে জাগতিক এই পৃথিবীর আপাত দৃষ্টিতে নির্মম তবুও সহজ স্বাভাবিক দিকগুলোকে তুলে ধরেছেন নিপুণ দক্ষতায়।

উপন্যাসটির একদিকে রয়েছে মানব জীবনের কিছু প্রেমময় মুহূর্ত-কিছু স্বপ্ন, কিছু ভালোবাসা,আছে এক টুকরো সুখের আসা। এই পবিত্রতার পিছনেই লুকিয়ে থাকে জীবনের কিছু কঠিন বাস্তবতা; ইতিহাসের অনাকাঙ্ক্ষিত পুনরাবৃত্তি, সামাজিক অনাচার ,থাকে একই পরিবেশে বসবাস করা হাজার মানুষের বিচিত্র জীবন গাঁথা

উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র শওকত;জীবনের মধ্যগগণে এসেও সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়নি।বেকার শওকত তার আশেপাশের মানুষদের আচরণ লক্ষ্য করে কখনো হয়েছে বিস্মিত কখনো বা পেয়েছে অপরিসীম লজ্জা।উপন্যাসটির এক পর্যায়ে মার্থা নামের একটি খ্রিস্টান মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভালোবাসায় গিয়ে পৌঁছায়।

মার্থা গ্রাহাম--এই চরিত্রটি পাঠক মনে গভীর বেদনার সাথে এক বিচিত্র মমতার সৃষ্টি করে।জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পার করা নিকষ কালো এই মেয়েটি শওকতের সাথে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখে।


একটা পছন্দ মতো ঘর।কিছু আশা।কিছু স্বপ্ন ।অনেক ভালোবাসা।আর হয়তো অশেষ দৈন্যে-ভরা একটুকরো সংসার। তাই হোক....


কিন্তু .... জীবন সে তো নয় ফুলের বিছানা!!!জীবনে আছে সুর ,জীবনে আছে ছন্দ। জীবনে আছে দুঃখ, জীবনে আছে দ্বন্দ্ব!!!

একসময় শওকত আবিষ্কার করে, পৃথিবী যেন হঠাৎ অনেক ছোট হয়ে গেছে!!! চিন্তার ধারাগুলো আর বিক্ষিপ্ত নয়,যেন একটা বিন্দুর চারপাশের সারাক্ষণ অস্থিরভাবে ঘুরে মরছে!!!


উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বপ্ন পূরণ করতে শওকত ঘুরে বেড়ায় অনৈতিক কাজের চেষ্টায়। অন্যদিকে মার্থা চুরির দায়ে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।

জীবনের প্রতি তীব্র পবিতৃষ্ণা থেকে বউ পেটানো কেরানিকে আচমকাই খুন করে বসে শওকত। নাচের দলের মেয়ে সেলিনার হাত ধরে বেরিয়ে পড়ে এক অজানার উদ্দেশ্যে। পরদিন ভোরে তাদের ঘিরে ফেলে আইনের ১৮ টি পা!!
***ব্যক্তিগত মতামত***
জহির রায়হান একটি ভিন্নধর্মী উপন্যাস তৃষ্ণা। বইটি প্রথমবার পড়ে ভাল লেগেছিল। অনেক দিন পর আবার পড়ে আগের চেয়েও বেশি ভালো লাগলো!!

***ব্যাক্তিগত রেটিং পাঁচ

***পাঠক পাঠিকাদের একটি ভিন্ন জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বইটি অবশ্যই পড়া উচিৎ।

Read More

Was this review helpful to you?


"তবে কি তৃষ্ণা মেটাব দূরের আকাশ থেকে
পৃথিবীর কোথাও কি কোনো জল নেই?
তবে কি চলে যাবো দীর্ঘ রাত্রির খোঁজে
যেন আর কোনো দিন ভোর না হয়।"

একটি সুন্দর সকাল। বুড়ো রাত বিদায় নেবার আগে বৃষ্টি থেমে গেছে তবু তার চিহ্ন যেন রয়ে গেছে এখানে সেখানে। তারই মাঝে ছেলেটির বুকে মুখ রেখে মেয়েটি ঘুমোচ্ছে মুখে নেই কোনো অভিব্যক্তি। শুধু ঠোঁটের শেষ সীমানায় একটুখানি হাসি।

গল্পের মূল চরিত্র শওকত। লম্বা দেহ, ছিপছিপে শরীর; দূর থেকে দেখলে মনে হবে বাতাসের সাথে উড়ে যাবে। শওকত একজন ব্যর্থ মানুষ। যে মানুষটির কোন স্বপ্ন নেই কোন লক্ষ নেই। নেই এই বৃহৎ সংসারের প্রতি কোন মোহ।

মার্থা এক বিবাহিত মহিলা যে কি আয় রোজগার করে কোনো মতে জীবনটা পার করে। থাকে শওকত যেখানে থাকে। তাদের পূর্ব পরিচয় যেন গাড় হতে হতে পরকীয়ার রূপ নেয়।

একপর্যায়ে তারা দুজনেই স্বপ্নের জাল বুনতে আরম্ভ করে। তাদের একটি সংসার হবে, একটা ছোট্ট বাড়ি থাকবে, একটা ছোট্টও দোকানও থাকবে, তাদের কোল জুড়ে থাকবে একটি ফুটফুটে শিশু। এই জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে টাকা আয় করার জন্যে। হোক সেটা সৎ পথে, কিংবা অসৎ পথে। মার্থা তার এই অবৈধ ভালবাসার জন্যে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। কিন্তু তারা কি পারবে জীবনের সকল বিপত্তিকে পিছনে ফেলে একটি সুন্দর সকালের রচনা করতে? পারবে কি তারা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে? ভালোবেসে ঘর বাঁধতে?

তাছাড়াও আরো অনেক চরিত্রের দেখা পাওয়া যাবে তাদের মধ্যে একজন নর্তকী সেলিনা, বউ পেটানো কেরানী, কিছু জুয়াখেলোয়ার অন্যতম। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ চরিত্র উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়, যার নাম "বুড়ো আহমদ হোসেন"। লেখক এই বুড়ো মানুষের মাধ্যমেই সমাজের অনেক অনৈতিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।

মতামতঃ লেখক উপন্যাসের শুরুটা করেছেন সুন্দর একটি সকালে সুন্দর একটি ভালবাসার দৃশ্য দিয়ে। এরপর সেই সুন্দর দৃশ্যটির পিছে লুকিয়ে থাকা অজানা সব গল্প এক এক গল্প তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন সমাজে টিকে থাকার কিছু সংগ্রাম এর কথা। তুলে ধরেছেন কিছু মানুষের ভালোবেসে যাওয়ার কথা। এক কথায় উপন্যাসটি ছোটর ভিতরে একটি এট্যাম বোমার মত। যা আপনাকে শিক্ষা দিবে পদে পদে।

রেটিংঃ ০৯/১০

Read More

Was this review helpful to you?

Show more Review(s)

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Q:

বইটি কত পেজ? Questioned by lia****com on 26 Feb, 2024

A:

প্রিয় গ্রাহক, বইটির মোট 48 পৃষ্ঠা, ধন্যবাদ। Answered by SG Shamim Ahmed on 26 Feb, 2024

Q:

বইটি কি হার্ড কভারের?? Questioned by Saad Bin Sayed on 25 Sep, 2023

A:

প্রিয় গ্রাহক, বইটি হার্ডকভার। ধন্যবাদ। Answered by Zakariya Arif on 25 Sep, 2023

Customers Also Bought

loading

Similar Category Best Selling Books

prize book-reading point
Superstore
Up To 65% Off

Recently Viewed

cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from bookshelf?

Write a Review

তৃষ্ণা

জহির রায়হান

৳ 95 ৳120.0

Please rate this product