একটি জাতির উন্নতি নির্ভর করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। পর্যাপ্ত পুঁজি মানুষের হাতে না থাকায় মানুষ অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে আশ্রয় নিতে হয়। অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলি আবার কোন না কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হইতে টাকা আনিয়া গ্রাহকদের নিকট কিছুটা অধিক লাভে অর্থলগ্নী করিয়া নিজেদের অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখার চেষ্টা করে। ১৯৮৯ সালে অর্থ ঋণ অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হওয়ায় এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করিতে অক্ষম হইয়া পড়িয়াছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার্থে দেশের অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলির অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখা ও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখার মানসে ১৯৯০ সালে অর্থ ঋণ আদালত আইন এর সৃষ্টি হয়। এই আইন পুনরায় কয়েকবার সংশোধন হয় তার পরও আইনটিকে যুগপযোগী করিয়া তোলা সম্ভব হয় নাই। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের আইনটিকে বাতিল করিয়া ২০০৩ সালের ৮নং আইন অর্থ ঋণ আদালত আইন প্রণীত হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধ্যাদেশ আকারে ব্যাপক পরিবর্তন করিয়াছিল যাহা বর্তমানে বাতিলকৃত। ২০১০ সালে অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ব্যাপক সংশোধন করা হয়। এই আইনে ৮ (আট) টি পরিচ্ছেদ এবং ৬০ (ষাট) টি ধারা রহিয়াছে। পুস্তকটিতে মূল ধারার যেখানে সংশোধন হইয়াছে সেখানে সংশোধন করা হইয়াছে এবং ধারাগুলির সহিত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সর্বশেষ সিদ্ধান্তসমূহ সংযোজন করা হইয়াছে। তাহা ছাড়া পূর্বে এই পুস্তকটিতে বাংলা এবং ইংরেজি আলাদাভাবে ছিল বর্তমানে প্রকাশিত পুস্তকটিতে বাংলা এবং ইংরেজি পাশা-পাশি সংযোজন করা হইয়াছে। বাংলা এবং ইংরেজি পাশা-পাশি সংযোজনে ভাষাগত ভুল পরিলক্ষিত হইলে সেইক্ষেত্রে মূল আইন যেই ভাষায় রচিত তাহাকেই প্রাধান্য দিতে হইবে।