`সুন্নতের আলোকে মুমিনের জীবন-২ : মুনাজাত ও নামায’ বইয়ের সূচীপত্রঃ ভূমিকা /৫ ১. মুনাজাত ও দু'আ /৭ ২. মুনাজাত বনাম নামায /৭ ৩. দুআ-মুনাজাতের গুরুত্ব ও ফযীলত /৮ ৪. মুনাজাত বনাম মাসনূন মুনাজাত /১২ ৪. ১. সুন্নাত বনাম জায়েয ও ফযীলত /১২ ৪. ২. মুনাজাতের মাসনূন পদ্ধতি /১৫ ৪. ২. ১. সাধারণ কিছু নিয়ম ও আদব ১৫ ৪. ২. ২. দুআ-মুনাজাতের জন্য হাত উঠানো /১৬ ৪. ২. ৩. দুআ-মুনাজাতের জন্য হাত না উঠানো /১৭ ৪. ২. ৪. দু'আর পরে দুই হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মোছা /২০ ৪. ২. ৫. দু'আর সময় কিবলামুখী হওয়া /২১ ৪. ২. ৬. দু'আর সাথে আমীন বলা /২২ ৪. ৩. মুনাজাতের মাসনূন সময় /২৩ ৫. নামাযের মধ্যে মুনাজাত /২৩ ৫. ১. সানার সময়ে দুআ-মুনাজাত /২৩ মাসনূন মুনাজাত-১-২ / ২৪-২৫ ৫. ২. সাজদার মধ্যে দুআ ও মুনাজাত /২৫ মাসনূন মুনাজাত ৩-৫ / ২৬-২৭ ৫. ৩. সালামের আগে দুআ-মুনাজাত /২৭ মাসনূন মুনাজাত ৬-১১ / ২৮-৩২ ৫. ৪. বি -এর কুনূতের দু'আ /৩২ মাসনূন মুনাজাত ১২/৩৩ কুনুতের মুনাজাতে হাত উঠানো বা না উঠানো /৩৪ ৬. নামাযের পরে মুনাজাত /৩৫ ৬. ১. ফরয নামাযের পরে যি ও মুনাজাতের গুরুত্ব /৩৫ ৬. ২. ফরয নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কর্ম /৩৭ ৬. ৩. ফরয নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যিক্র /৩৭ ৬. ৪. ফরয নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মুনাজাত /৩৭ মাসনুন মুনাজাত-১৩-৩৪ / ৩৭-৪৭ ৬. ৫. নামাযের পরে যির-মুনাজাতের মাসনুন পদ্ধতি /৪৭ ৬. ৬. নামাযের পরে জামাতবদ্ধভাবে হাত তুলে মুনাজাত /৪৮ ৬. ৬. ১. অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক /৪৮ ৬. ৬. ২. মুনাজাত বনাম জামাতবদ্ধ মুনাজাত /৫১ ৬. ৬. ৩. মুনাজা বনাম হাত তুলে মুনাজাত /৫৩ ৭. আরো কিছু মুনাজাত ৫৮ মাসনুন মুনাজাত-৩৫-৪৭ / ৫৮-৬৪ শেষ কথা /৬৪
ভূমিকাঃ بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على النبي الأمي المبعوث رحمة للعالمين، و اله وصحبه أجمعين. মুমিনের জীবনের অন্যতম ইবাদত দু'আ বা মুনাজাত। আমরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে মুনাজাত করি। মুনাজাতের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে: প্রথমত, দুআ-মুনাজাত' একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অন্য কোনো দলিল দ্বারা নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো ভাষায়, যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো অবস্থায় মুমিন আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতে পারেন । এতে দু'আর মূল ইবাদত পালিত হবে এবং বান্দা সাওয়াব ও পুরস্কারের আশা করবেন। দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর শেখানো কথা দ্বারা মুনাজাত করলে মুমিন মাসনূন বাক্য ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব লাভ করবেন। এ ছাড়া মাসনূন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মুমিন অতিরিক্ত বরকত ও মহব্বত লাভ করবেন এবং দোয়া কবুল হওয়ার বেশি আশা করতে পারবেন। তৃতীয়ত, মাসনূন মুনাজাতগুলির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কিছু মুনাজাত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন বা পালন করেছেন নির্ধারিত সময়ে বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে। আবার কিছু মুনাজাত তিনি সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারেন। এতে মাসনুন মুনাজাত ব্যবহারের সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের নির্ধরিত মুনাজাত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সুন্নাত পালনের মর্যাদা লাভ করবেন। চতুর্থত, মুনাজাতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর অনুসরণ করতে পারলে মুমিন মাসনূন পদ্ধতি পালনের অতিরিক্ত সাওয়াব, বরকত ও কবুলিয়্যাত লাভ করবেন। পঞ্চমত, দুআ-মুনাজাত করার বিশেষ বিশেষ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলির অন্যতম হলো নামায। তিনি নামাযের মধ্যে ও পরে বিশেষভাবে দুআ-মুনাজাত করেছেন এবং করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে বা অন্যান্য সময়ে দুআ-মুনাজাত করার সুযোগ অনেকেরই হয় না। পক্ষান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমরা সকলেই আদায় করি। এ সময়ের মাসনূন মুনাজাতগুলি আদায় করা আমাদের জন্য সহজ এবং এভাবে আমরা বিশেষ সাওয়াব, ফযীলত ও কবুলিয়ত লাভ করতে পারব, ইনশা আল্লাহ…..
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইসলাম ধর্ম বিষয়ক ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং গবেষক। তাঁর জন্ম ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করে আলিম, ফাজিল এবং আল হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরপর দুবার সেরা ছাত্রের পুরষ্কার লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকার দারুস সালাম মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শায়খুল হাদিস, এবং পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পিস টিভি, ইসলামিক টিভি, এটিএন বাংলাসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ধর্মবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেন ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। সর্বদা মানুষকে ইসলামমুখী করার ব্যাপারেই তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ২০১৬ সালের ১১ মে মাগুরায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য এই ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বইগুলো সবই ইসলাম ধর্ম বিষয়ক। তিনি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ত্রিশের অধিক বই রচনা করেছেন। এর মধ্যে কিছু অনুবাদ, কিছু ব্যখ্যা ও গবেষণামূলক। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ এর মাঝে এহইয়াউস সুনান, কুর’আন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা, রাহে বেলায়াত, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, খুতবাতুল ইসলাম, A Woman From Desert, Guidance For Fasting Muslims, A Summary of Three Fundamentals of Islam প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তিনি আরবী ভাষাতেও বই রচনা করেছেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র মানুষকে ইসলামমুখী করতে, ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে তিনি কেবল বইয়ের গণ্ডির মাঝেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। এর পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মপ্রচার এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও নিজেকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রাখতেন তিনি।