প্রাথমিক চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো তাৎক্ষণিক অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কমিয়ে আনা। এ জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান বিশেষ প্রয়োজন। আমাদের দেশে সেই জরুরি মুহূর্তে করণীয় বিষয়গুলো খুব একটা পরিচিত নয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তা কখনো কখনো সুফল বয়ে আনে, আবার কখনো কখনো জীবননাশী হয়ে ওঠে। প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে কারো ভালো জ্ঞান বা প্রশিক্ষণ থাকলে, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের সমন্বয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা যায়। বেশির ভাগ মানুষেরই স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান খুবই সীমিত। আবার এটাও সত্য যে, স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য বাংলা ভাষায় নির্ভরযোগ্য বই এর ঘাটতি রয়েছে। এই বিষয়টি অনুধাবন করে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রচলিত ৯০০ টিরও বেশী ওষুধ (Generic Drug) আছে, এর মধ্যে প্রথম সারির প্রায় ১৪৬ টি ওষুধ-ই সবচেয়ে বেশী প্রচলিত। তাই যে সকল ওষুধ বহুল প্রচলিত শুধুমাত্র সেই সকল ১৪১ টি ওষুধের সামগ্রিক তথ্যাবলি, বিশ্বখ্যাত মেডিক্যাল জার্নালের ১৯০ টি স্টাডি, ১২৪ টি রোগ ও রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির তথ্যাবলির সমন্বয়ে ড্রাগ ইনডেক্স বইটি রচিত হয়েছে। বইটি সম্পাদনা করেছেন ফার্মাসিস্ট মোঃ আল-আমিন। যিনি একাধারে ফার্মাসিস্ট, লেখক এবং গবেষক। লেখক বইটিকে সহজবোধ্য করার লক্ষ্যে যথাসম্ভব সহজ ও সাবলীল বাংলা ভাষায় চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য উপাত্ত দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ড্রাগ ড্রাগ ইনডেক্স বই টি যারা যারা সংগ্রহে রাখলে বেশি উপকৃত হবেনঃ • জেনারেল প্রাকটি্শনার • ডাক্তার • মেডিকেল শিক্ষার্থী • ফার্মাসিস্ট • ডি এম এফ • SACMO • স্বাস্থ্য সহকারি • নার্স • প্যারামেডিকেল শিক্ষার্থী তাছাড়া যেকোনো সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসহ স্বাস্থ্য বিষয়ে সার্বিক জ্ঞান অর্জনে ‘ড্রাগ ইনডেক্স’ বইটি অনন্য।
মো: আল-আমিন ১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার কানুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৮ সালে বি.ফার্ম. ও ২০০৯ সালে এম.ফার্ম. ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশে প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল সাইন্সে গাইড বইয়ের প্রবর্তক হিসেবে তাঁর খ্যাতি সমাদৃত। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত দুটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি-পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এবং ওরিয়ন ফার্মা. লি.-এর প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে ছয় বছরের অধিক সময় ধরে তিনি কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের জন্য 'AIM' নামে তাঁর প্রথম বইয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের উপর লিখিত সেই বইটি বাংলাদেশের হাজারো গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট এবং ফার্মেসি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়। সেই অনুপ্রেরণা তাঁর লেখনীর পথচলাকে মসৃণ করে। ফলশ্রুতিতে তাঁর হাতে মেডিকেল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের উপর এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ টির অধিক বই রচিত ও প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, তিনি Covid-19 চলাকালীন সময় ইমেরিটাস প্রফেসর ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ'র 'Covid-19, Guideline Expert Insights Global Research' বইয়ের সহ-লেখক হিসেবে কাজ করেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম তিনি-ই গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ও ফার্মাসিউটিক্যাল সেলস ফোর্সদের জন্য "Al-Amin Pharmacy Professional Program (APPP)" নামে একটি ট্রেনিং একাডেমি সূচনা করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে External Sales Trainer হিসেবেও হাজার হাজার ফার্মাসিউটিক্যাল সেলস ফোর্সদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করেন। তিনি ২০১৬ সালে 'The Pharma 360' নামে একটি Medical Research Center প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ মূলত ফার্মাসিউটিক্যাল ও মেডিকেল পাবলিকেশন, ফার্মা ও হেলথ ইন্ডাস্ট্রির সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় সম্পর্কিত গবেষণা করা। বর্তমানে তিনি সেখানে গবেষক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত আছেন।