প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
সুচরিত চৌধুরী
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও সংগীতজ্ঞ সুচরিত চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল গ্রামে। তাঁর পিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসাহিত্য সংগ্রাহক দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী কবি-কণ্ঠহার আশুতোষ চৌধুরী, আর মাতা চারুবালা চৌধুরী, স্ত্রী মীরা চৌধুরী ও পুত্র সৌভিক চৌধুরী। গল্পকার হিসেবে সুচরিত চৌধুরী’র পরিচিতি সমধিক হলেও তিনি লিখেছেন উপন্যাস, নাটক, কবিতা, গান। তিনি শুধু চৌধুরী ও সুরাইয়া চৌধুরী ছদ্মনামে কবিতা-গল্প লিখেছেন। ১৯৫১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শুধু চৌধুরীর শুধু কবিতা’। প্রথম গ্রল্পগ্রন্থ ‘সুরাইয়া চৌধুরীর সেরা গল্প’ প্রকাশ পায় ১৯৫২ সালে। স্বনামে প্রকাশিত তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘আকাশে অনেক ঘুড়ি’ প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। তাঁর অন্যান্য বইগুলো হলো– ‘একদিন একরাত’ (গল্প, ১৯৬৬), ‘সুচরিত চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প’ (১৯৮৭), ‘নদী নির্জন নীল’ (উপন্যাস, ১৯৮৭), ‘কিংবদন্তীর গল্প : চট্টগ্রাম’ (১৯৯৩), ‘ঋতু’ (কিশোর উপন্যাস, ২০০৯), ‘সুচরিত চৌধুরীর রচনা সংগ্রহ’ (২০১১)। মাহবুব উল আলম চৌধুরীর সাথে তিনি যৌথ ভাবে সম্পাদনা করেন সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য পত্রিকা ‘সীমান্ত’। এছাড়া সিনে মাসিক ‘উদয়ন’, সাপ্তাহিক ‘রেনেসাঁ’, সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রাচী’, ‘দিগন্ত’ও সম্পাদনা করেছেন তিনি। রচনা করেছেন অসংখ্য প্রবন্ধ ও সংগীত বিষয়ক নিবন্ধ। সুচরিত চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট সংগীত-সাধক। বংশীবাদনে অনায়াস দক্ষতা প্রমাণ করেছে রাগ-রাগিনীর ভুবনে তাঁর অবাধ পদচারণা। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর গানের বই স্বরলিপিযুক্ত ‘সুর লেখা’। এছাড়াও তিনি রচনা করেছেন প্রায় তিন হাজার গান। সুচরিত চৌধুরী রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো– ‘পার্কের কোণ থেকে’, ‘একজন শহীদ’, ‘সুতরাং’। তাঁর পিতা আশুতোষ চৌধুরী সংগৃহীত ‘নছর মালুম’ পালার নৃত্যনাট্যরূপ ‘আমিনা সোন্দরী’তে (১৯৭৬) সুরারোপ ও সংগীত পরিচালনা সুচরিত চৌধুরীর অন্যতম কীর্তি। এই ‘আমিনা সোন্দরী’ পালার শেষ মঞ্চায়ন হয়েছে ২০১২ সালে। ১৯৭৬ সালে সুচরিত চৌধুরী ছোটগল্পে অবদানের জন্য লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। ১৯৯৪ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন।