প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
কাজী আজহার আলী
কাজী আজহার আলী বাগেরহাট জেলার সৈয়দ মহল্লা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর ১৯৫৬ সালে সেখানে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সি.এস.পি) যােগদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশােনা করে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পাঁচ মন্ত্রণালয়ে সচিবের পদ ছাড়াও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ড, টিসিবি ও চা বাের্ডসহ চারটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল, বৃহত্তর রংপুর ও কুমিল্লা জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং রাজবাড়ীর মহকুমা প্রশাসক (এস.ডি.ও) ছিলেন। ছাত্রজীবনে ভাষা-আন্দোলনসহ অন্যান্য গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান আছে। তাঁর লেখা বই-এর মধ্যে Rural Development in Bangladesh, District Administration in Bangladesh, Decentralised Administration in Bangladesh, State Trading and Its Impact on Economy,বাংলাদেশের জেলা প্রশাসন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, মুক্তিযুদ্ধে আরেক ফ্রন্ট, স্মৃতির পাতা, থেকে, আমার দেখা একুশে, সেই সব দিনগুলি, ঝড়াে হাওয়ার মাঝে উল্লেখযােগ্য। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখে থাকেন। কাজী আজহার আলী শিক্ষার উপর। বিশেষ গুরুত্বারােপ করেন। তিনি ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং অবৈতনিক ভাইস চ্যান্সেলর, দু’বার Best School Award প্রাপ্ত মােহাম্মদপুর প্রিপারেটরী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি চাকরিজীবনে জনসাধারণের চাঁদায় রাজবাড়ী কলেজ, রংপুর কলেজ, রংপুরে রােকেয়া কলেজ ও লালকুঠী হাই স্কুল, গাইবান্ধা জেলায়। বােনারপাড়া কাজী আজাহার আলী স্কুল, খুলনায় পাবলিক কলেজ, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে কাজী আজহার আলী কলেজ, খােদেজা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়, কাজী আশরাফুদ্দিন স্কুল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরিকালে তাঁর উদ্যোগে এবং চেষ্টায় খুলনা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেও তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের সদস্য ও হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সমাজসেবা করছেন।