লেখক পরিচিতি: কাজী আজহার আলী বাগেরহাট জেলার সৈয়দ মহল্লা গ্রামে জম্মগ্রহন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর ১৯৫৬ সালে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভেসে (সি.এস.পি) যোগদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের সরকারের পাঁচ মন্ত্রণালয়ে সচিবের পদ ছাড়াও বিদ্যুৎ উন্নায়ন বোর্ড, টিসিবি ও চা বোর্ডসহ চারটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একাডেমীর ডিরেক্টর জেনারেল, বৃহত্তর রংপুর ও কুমিল্লা জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং রাজবাড়ীর মহকুমা প্রশাসক (এস.ডি.ও) ছিলেন। ছাত্রজীবনে ভাষা-আন্দোলনসহ অন্যান্য গণআন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান আছে।
বই নিয়ে কথা: ইতিহাসের অলিগলি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। সংক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন দেশের ইতিবৃত্ত বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে লিখেছিলাম- এই কারণে যে, অল্প সময়ে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের অনেক গুলি দেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক জ্ঞান লাভ সম্ভব হবে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় করার উদ্দেশে গ্রন্থবদ্ধ লেখাগুলোর বিচিত্রা শিরোনাম দেওয়া হয়েছে। সূচীপত্র সংস্করণে কয়েকটি নতুন দেশের কথা যুক্ত করা হয়েছে। এই গন্থটি পড়ে যদি বিশ্বায়নের যুগে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কিছু উপকার হয় তাহলেই এ লেখার সার্থকতা। সূচীপত্রের প্রধান নির্বাহী সাঈদ বারী এই নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে জ্ঞান প্রসারে এগিয়ে আসায় তাকে ধন্যবাদ জানাই।
বইয়ের বিষয় বস্তু: মুক্তিযুদ্ধের ঊষালগ্নে দক্ষিণ কোরিয়া দেখে এলাম রেংগুনে তিন দিন অস্ট্রেলিয়ার আকর্ষণ ইন্দোনেশিয়ার ইতিবৃত্ত এথেন্সের পার্থেনন্ পিরামিডের পাশে পাতাইয়ার খেলা পাপুয়া নিউগিনি ব্রিসবেন এক্সপো ভুটানের সৌন্দর্য ইউ.এস.এস. কার্ল ভিনসন গেইসার হাসি নিষদ্ধ নগরী মাছের নাম: লাপু লাপু রোমের কলিসিয়াম সোলেমানের সম্পদ শ্বেতগস্তী শান্তির রাজ্য ‘টোঙ্গা’ চাচার দেশে মাউন্ট এলিজার ‘মুন্ড’ ঐতিহাসিক উজবেকিস্তান পুতিনের উণ্থান ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে
কাজী আজহার আলী বাগেরহাট জেলার সৈয়দ মহল্লা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর ১৯৫৬ সালে সেখানে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সি.এস.পি) যােগদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশােনা করে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পাঁচ মন্ত্রণালয়ে সচিবের পদ ছাড়াও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ড, টিসিবি ও চা বাের্ডসহ চারটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল, বৃহত্তর রংপুর ও কুমিল্লা জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং রাজবাড়ীর মহকুমা প্রশাসক (এস.ডি.ও) ছিলেন। ছাত্রজীবনে ভাষা-আন্দোলনসহ অন্যান্য গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান আছে। তাঁর লেখা বই-এর মধ্যে Rural Development in Bangladesh, District Administration in Bangladesh, Decentralised Administration in Bangladesh, State Trading and Its Impact on Economy,বাংলাদেশের জেলা প্রশাসন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, মুক্তিযুদ্ধে আরেক ফ্রন্ট, স্মৃতির পাতা, থেকে, আমার দেখা একুশে, সেই সব দিনগুলি, ঝড়াে হাওয়ার মাঝে উল্লেখযােগ্য। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখে থাকেন। কাজী আজহার আলী শিক্ষার উপর। বিশেষ গুরুত্বারােপ করেন। তিনি ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং অবৈতনিক ভাইস চ্যান্সেলর, দু’বার Best School Award প্রাপ্ত মােহাম্মদপুর প্রিপারেটরী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি চাকরিজীবনে জনসাধারণের চাঁদায় রাজবাড়ী কলেজ, রংপুর কলেজ, রংপুরে রােকেয়া কলেজ ও লালকুঠী হাই স্কুল, গাইবান্ধা জেলায়। বােনারপাড়া কাজী আজাহার আলী স্কুল, খুলনায় পাবলিক কলেজ, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে কাজী আজহার আলী কলেজ, খােদেজা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়, কাজী আশরাফুদ্দিন স্কুল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরিকালে তাঁর উদ্যোগে এবং চেষ্টায় খুলনা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেও তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের সদস্য ও হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সমাজসেবা করছেন।