“দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী এ কিতাবটি সৌরভময় মনােমুগ্ধকর কিছু বাক্যের সমাহার। এখানে একশাে মহান। ব্যক্তির আলােচনা এসেছে। তারা সবাই প্রখ্যাত যাহেদ। যাঁরা মানব ইতিহাসে আপন। চরিত্রকে এঁকেছেন আলােকোজ্জ্বল বর্ণমালা দিয়ে। শুরুতেই এসেছে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আলােচনা। যিনি। শেষ নবী; নবীগণের ইমাম। বার্তাবাহক, বাহা উপত্যকার সর্বোত্তম পদচারণকারী ।। ধরণীর বুকে চলেছেন-ফিরেছেন। প্রথম সুপারিশকারী। প্রথম সুপারিশ কবুলকৃত। ব্যক্তি। তার হাতে থাকবে প্রশংসার ঝাণ্ডা। তার মাধ্যমে দুআ কবুলের আর্জি পেশ করা হয়। তাঁর যুহদের উপমা নেই। তাঁর দান-দক্ষিণার সীমা-পরিসীমা নেই। তাঁর। দয়া ও অনুগ্রহের অন্ত নেই। তিনি উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তার ঘাম সুরভিত।। মণি-মুক্তার ন্যায় তাঁর কথামালা। তাঁর নীরবতা হলাে চিন্তা-ভাবনা ও ধ্যানমগ্নতা।। তাঁর মজলিস হলাে যিকর ও ফিক্র। তাঁর বাণী হলাে মহৌষধ। তাঁর অনুচ্চ ধ্বনি। হলাে তাসবীহ। তাঁর উচ্চ আওয়াজ হলাে তাহলীল। নির্বাচিতদের মধ্যমণি,। অভাবীদের বন্ধু। তাঁর মাঝে সমাবেশ ঘটেছিল সমস্ত গুণাবলির—যা বণ্টন করে দেয়া। হয়েছিল সকল নবী-রাসূলের মাঝে। বড়দের বিনয়ের প্রথম শিক্ষাঙ্গনের প্রধান।। দুনিয়াতে তার আবির্ভাব ছিল মানবতার পুনর্জন্ম। তাঁর রিসালাত সমাপ্ত করেছে। নবুওয়াতের ধারা। তিনি এসেছেন সীরাত ও চরিত্রের ছবি নতুন করে আঁকতে, মানুষকে দীন ও তাওহীদ পৌছে দিতে। তারপর আলােচনা করা হয়েছে দাউদ আ. ও ঈসা আ.-এর। এরপর খুলাফায়ে। রাশেদীনের। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে উমর ইবনে আবদুল আযীয রহ.-কে ।। তারপর পর্যায়ক্রমে সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনদের আলোচনা করা হয়েছে। নিজ হস্তগত জিনিসের চেয়ে আল্লাহর উপর তাদের ভরসা ছিল বেশি। অন্তর ছিল। আল্লাহর ভয়ে পরিপূর্ণ। তাদেরকে সবকিছু ভয় করত। তারা স্বীয় অন্তরকে। আলােকিত করেছেন যিকিরের মাধ্যমে। তারা আত্মাকে পরিপুষ্ট করেছেন। পরহেজগারী দিয়ে। রাতের অখণ্ড নিস্তব্ধতাকে গুঞ্জরিত করেছেন যিকিরের ধ্বনি। দিয়ে। আনন্দে কখনাে মৃত্যুকে ভুলেননি। সম্পদ ছিল তাঁদের অনুগামী; তাঁরা। সম্পদের অনুগামী ছিলেন না। তাঁদের চরিত্র জামানাকে পূর্ণতা দিয়েছে। তাঁদের। জীবন চিহ্নিত হয়েছে বিশ্বাসের উষ্ণতায় ।