"সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: ‘ভালাে আছি জানাে! খুব, খুব ভালাে। কেবল মাঝরাতে বৃষ্টি এলে মনে পড়ে..ইচ্ছে এক বেলগাড়ি। আর এবার গন্তব্য পাহাড়। কী যে বলতে চায় ঠিকানাবিহীন এই চিরকুট ঠিক বুঝি না। কেবল রােজ নেশাগ্রস্তের মতাে এই চিরকুটের টানে নেমে আসি বাড়ির সদর দরজায় আর তারপর সারাদিন মাথা ঝিমঝিম, হৃদয় তােলপাড়। একটা হরাইজন্টাল লাইন ধরে লালপিপড়ের মিছিল এগােয় ওদের সাথে হাঁটি। কী একটা যেন বুকে কাটার মতাে বিধে থাকে পুরাে বিকেল আর সন্ধ্যা জুড়ে সমস্ত অর্থহীনতাকে। পাশ কাটিয়ে মনে পড়ে অনির কথা ও বলত, তাের মনে নেই কিছু। ভুলে গেছিস.. সব! সত্যি আমি ভুলে গেছি সব। ভুলে যাই। কিছুতেই মনে করতে পারি না, সকালবেলা ঘাসে বিছানাে শিউলির জাফরান বোঁটাতে কতটা শিশির লেগে থাকত। কবে সেই শিশিরগুলাে ঠোটে শুষে নিতে নিতে ও বলেছিল, জানিস.. আমার তাে বিশ্বাস ছাড়া আর কিছু নেই। ওতে ভর করেই পৌঁছে যাব ঠিক চাদে। অনি! তুমি কি পৌছাতে পেরেছ ? অনি কোথাও পৌছেছিল কিনা জানা নেই। মেঘ অদিতির সহজ লিরিকাল মায়া-গদ্য কি অনায়াস ছুঁয়ে যায় পাঠকের হৃদয় এ বইটির পাতায় পাতায় তার অজস্র উদাহরণ। এও এক জাদুকরী আয়না। চোখ রাখুন, দেখবেন অক্ষর জুড়ে জুড়ে এ আসলে আপনারই লুকানাে ব্যথার এক পূর্ণ অবয়ব। সময় শূন্যতার বায়ােস্কোপ।