কেনো এই উপস্থাপনা রমযান মাস কুরআন নাযিলের মাস। কুরআন নাযিল হওয়ার সূচনা হয় রমযানের মহিমান্বিত কদর রজনীতে। এ কারণে এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। কুরআনের সম্মানে রমযানের পুরো একটি মাস রোযা পালন ফরয করা হয়েছে। কুরআন কী, কুরআনের এত মর্যাদা কেনো? এর নাযিলের সময়টা কেনো এত মূল্যবান? কুরআন মহান আল্লাহর বাণী । বিশ্ব মানবতার জন্য পথনির্দেশ, সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী সুস্পষ্ট মহাগ্রন্থ। এ কারণেই এর এত মর্যাদা। প্রতি রমযানে মহানবী (সা) কুরআন পড়ে কুরআনের বাহক ফেরেশতা জিবরাইল (আ) কে শোনাতেন। রাসূলুল্লাহ (স) জীবনের শেষ রমযানে দু'বার কুরআন শুনিয়াছেন । কুরআনের বিধি-বিধান মানুষ যাতে জানতে পারে এবং মানুষের মধ্যে তা সদা জাগ্রত থাকে সে জন্য সূচনা লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি মুসলিম জনপদে মুসলিম উম্মাহ রমযানের তারাবীহ নামাযে এবং কিয়ামুল লাইলে জামাআতবদ্ধ হয়ে তা তিলাওয়াত করেন, শোনেন ও শোনান। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে কুরআন খতম করে থাকেন। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ আরবিতে কুরআন না বুঝলেও কুরআনের মোহনীয় হৃদয়-স্পর্শী-ঝংকার এমন যে, কুরআন প্রেমিক আল্লাহমুখী প্রতিটি মানুষ তন্ময় হয়ে কুরআন শোনেন। কাজেই কুরআন পড়তে হবে ধীরস্থিরভাবে, থেমে থেমে। ধীর স্থিরভাবে পড়তে হবে তারাবীহতে এবং অন্যান্য সময়েও। আমরা এই পুস্তিকায় প্রতিদিনের তারাবীহ নামাযে কুরআনের যে অংশ তিলাওয়াত করা হবে- সে অংশের মধ্যে কেবল করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটুকু জেনে নিলেও কুরআনের ঝংকার হৃদয় মাঝে আল্লাহ প্রেমের ঢেউ জাগাবে। কুরআনের আদর্শে আলোকিত জীবন গঠনের নতুন চেতনা জাগ্রত হবে। আশা করি এ উপস্থাপনা কুরআন প্রেমিকদের উপকারে আসবে। আল্লাহ আমাদের এ প্রচেষ্টা কবুল করুন।