সূচিপত্র কয়েকটি জরুরী কথা ১. সহীহ নিয়ত ২. দোয়া ৩. মাসনুন দোয়া ৪. ইস্তেগফার ৫. জিকরুল্লাহ ৬. দুরুদ শরীফ ৭. শুকুর ৮. সবর ৯. প্রত্যেক কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা ১০. প্রথমে সালাম ১১. সেবা শুশ্রূষা ১২. জানাযা ও দাফন কাফনে অংশগ্রহণ ১৩. শোকসন্তপ্ত পরিবার ও বিপদগ্রস্তকে সান্ত্বনা দেয়া ১৪. আল্লাহর ওয়াস্তে মহব্বত করা ১৫. মুসলমানদের সাহয্য করা ১৬. জায়েয সুপারিশ করা ১৭. অন্যের দোষ গোপন রাখা ১৮. ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করা ১৯. সদকা খয়রাত ২০. ক্ষমা করে দেয়া ২১. নম্রতা ভদ্রতা ২২. পরস্পর সন্ধি করিয়ে দেয়া ২৩. এতিম বিধবাদের দেখাশোনা করা ২৪. পরিবার পরিজনের জন্য খরচ করা ২৫. পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার ২৬. পিতামাতার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সদাচার ২৭. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ২৮. আত্মীয়তার বন্ধন ২৯. প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার ৩০. সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকা ৩১. সহযাত্রীদের সঙ্গে সদাচার ৩২. আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎ ৩৩. অতিথিসেবা ৩৪. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া ৩৫. ঝগড়া-বিবাদ থেকে বেঁচে থাকা ৩৬. মানুষকে দ্বীন শেখানো ৩৭. দ্বীন শেখানো ৩৮. বড়দের সম্মান করা ৩৯. ইসলামের নিদের্শনের সম্মান ৪০. ছোটদের স্নেহ করা ৪১. আজান দেয়া ৪২. আজানের জওয়াব দেয়া ৪৩. কোরআন তেলাওয়াত ৪৪. সুরায়ে ফাতেহা ও সুরায়ে ইখলাস তেলাওয়াত ৪৫. ভালোভাবে অজু করা ৪৬. মেসওয়াক করা ৪৭. অজুর পর জিকির ৪৮. তাহিয়্যাতুল অজু ৪৯. তাহিয়্যাতুল মসজিদ ৫০. ইতেকাফের নিয়ত ৫১. প্রথম কাতারে নামাজ পড়া ৫২. কাতারে ফাঁক না রাখা ৫৩. ইশরাকের নামাজ ৫৪. জুমার দিন গোসল করা এবং খুশবূ লাগানো ৫৫. বোজার সেহরী খাওয়া ৫৬. তাড়াতাড়ি ইফতার করা ৫৭. রোজাদারকে ইফতার করানো ৫৮. হাজী অথবা মুজাহিদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়া ৫৯. শাহাদাতের জন্য দোয়া করা ৬০. সকাল সকাল কাজ শুরু করা ৬১. বাজারে জিকরুল্লাহ ৬২. বিক্রিত মাল ফিরত নেয়া ৬৩. অভাবীকে ঝণ দেয়া ৬৪. দরিদ্র ঝণীকে সময় সুযোগ দেয়া ৬৫. ব্যবসায় সত্য বলা ৬৬. গাছ লাগানো ৬৭. পশুপাখির সঙ্গে ভালো ব্যবহার ৬৮. কষ্টদায়ক প্রাণী মেরে ফেলা ৬৯. জবান হেফাজতে রাখা ৭০. অনর্থক কথাবার্তা বা কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকা ৭১. [৭১ থেকে ৭৭ পর্যন্ত] ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নেকি ৭৭. ডান দিক থেকে শুরু করা ৭৮. পড়ে যাওয়া লোকমা তুলে খাওয়া ৭৯. হাঁচি আসায় আলহামদুলিল্লাহ ও তার জবাব ৮১. আল্লাহর ভয় ৮২. আল্লাহর কাছে আশা করা এবং ভালো ধারণা রাখা
প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী শুধু ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে বই রচনা করেননি, তিনি একাধারে ইসলামি ফিকহ, হাদীস, তাসাউফ ও ইসলামি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ। আর তা-ই নয়, তিনি একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতে, এমনকি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চেরও বিচারক পদে আসীন ছিলেন। মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে ১৯৪৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হলে তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে এবং এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শিক্ষাজীবনে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ইসলামি নানা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা নিয়েছেন। তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, যেখান থেকে অর্থনীতি, আইনশাস্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন। আর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি। দারুল উলুম করাচি থেকে পিএইচডি সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামি ফিকহ ও ফতোয়ার উপর। সর্বোচ্চ স্তরের দাওয়া হাদিসের শিক্ষাও তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামি বিষয়, যেমন- ফিকহ, ইসলামি অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ রয়েছে তাঁর। পাকিস্তানে 'মিজান ব্যাংক' নামক ইসলামি ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাকিস্তানে ইসলামি অর্থনীতির প্রসারে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য বইও। তকী উসমানীর বই এর সংখ্যা ৬০ এর অধিক। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমূহ রচিত হয়েছে ইংরেজি, আরবি ও উর্দু ভাষায়। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'Easy Good Deeds', 'Spiritual Discourses', 'What is Christianity?', 'Radiant Prayers' ইত্যাদি ইংরেজি বই, ও 'তাবসেরে', 'দুনিয়া মেরে আগে', 'আসান নেকিয়া' ইত্যাদি উর্দু বই উল্লেখযোগ্য। এসকল বই ইসলাম প্রসারে, এবং বিভিন্ন ইসলামি ব্যাখ্যা প্রদান ও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।