মাইন্ড রিডার বইয়ের সূচীঃ এক. মনের আশ্চর্য ক্ষমতা ১৫ লাস ভেগাস ২০১১, ৯০০ দর্শক ২০ দুই. একটি সুন্দর মন ২৮ তিন. মনের শক্তি-আপনি ভাবছেন, সেই কারণে আমিও ৪৩ চার. লন্ডন ২০০৯ আপনার মনকে গিয়ারে রাখুন ৫৩ পাঁচ. লাস ভেগাস ২০১১ ৫৭ ছয়. প্ররোচিত করার ক্ষমতা, বড় মনগুলো একই কথা ভাবে ৬০ সাত. প্ররোচিত করার সাইকোলজি : সকলের মনকে একই ভাবনা ভাবতে এবং একই কাজ করতে বাধ্য করা ৬৬ আট. প্যারিস, ২০০৮ ৭১ নয়. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ৭৫ দশ. জোহানেসবার্গ ২০১০, ১৫০০ দর্শক ৮১ কথা দিয়ে কাজ রক্ষা ৮৪ এগারো. মন্টিকার্লো ২০১০, ৪০০ দর্শক ৯১ বারো. লাস ভেগাস ২০১১, ৯০০ দর্শক ৯৫ তাসের ম্যাজিক ১০০ তের, ইতিবাচক শক্তিকে ব্যবহার, হংকং ২০১১ ১০৫ চৌদ্দ. টোকিও, ২০১১ ১১৪ জীবনের উজ্জ্বল দিকে তাকাবেন কী করে ১১৫ মেডিটেশন বা ধ্যান করুন ১১৫ নেতিবাচককে ইতিবাচকে পরিণত করা ১১৭ পনের. জেনেভা ২০০৯ ১২০ ষোল. আপনার ইনটুইশনকে বিশ্বাস করুন ১২২ অনুভূতিগুলো পিনপয়েন্ট করবেন কিভাবে ১২৪ সতের. প্রাইভেট এবং কনফিডেন্সিয়াল ২০১০ ১২৮ আপনার ইনটুইশনকে সমৃদ্ধ করুন ১৩২ আঠার. লাস ভেগাস ২০১১, ৯০০ দর্শক ১৩৯ উনিশ. ভাবনার সঙ্গে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠুন ১৪২ কর্মযজ্ঞে গোটা মস্তিষ্ক ১৬৪ গোল্ড মেডেল থিংকিং ১৬৭ কুড়ি. লাস ভেগাস ২০১১, ৯০০ দর্শক ১৭২ কৃতজ্ঞতা স্বীকার ১৭৫ মাইন্ড রিডার বইয়ের কিছু কথা মনের আশ্চর্য ক্ষমতা একজন মেন্টালিস্টের কাজ কী? এ মুহূর্তে আমি আমার শো নিয়ে সাংঘাতিক ব্যস্ত : লাস ভেগাস, নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, ই্উরোপ, ইসরায়েলসহ আরও বহু দেশ। আমি এক সপ্তাহে তিনটি মহাদেশ ভ্রমণ করেছি। বিমানে ঘুমিয়েছি, সঙ্গে বহন করেছি নানারকম ফোন। জানি না কখন কে আমাকে ফোন করে বসবেন। হতে পারে এক সপ্তাহে রোমানিয়ার রাজা ফোন দিলেন, অথবা পরের সপ্তাহে ডোনা কারান কিংবা কোনো হাই-টেক শিল্পপতি। অথবা রাশান কোনো অভিজাত আমাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত এয়ারফিল্ডে দেখা করতে বললেন। আমি বহু দেশের টিভি টক শোতে অংশগ্রহণ করেছি, এরমধ্যে জে লেনোও আছেন এবং মাঝেমধ্যে তাঁরা আমাকে দ্বিতীয়বারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জে লেনোর মতো আমিও জাপানে খুব বিখ্যাত। আমি আন্তর্জাতিক করর্পোরেট ইভেন্ট এবং ট্রেড শোগুলোতে কাজ করি। এর মধ্যে রয়েছে কোকাকোলা, মাইক্রোসফট, বিএমডব্লু এবং ওমেগা। বড় বড় বিজনেস কনফারেন্সে আমাকে দাওয়াত দেয়া হয় মিটিংয়ের আগের বরফ ভেঙে দেয়ার জন্য। যাতে কোটিপতিরা রিল্যাক্স মুডে মিটিংয়ে অংশ নিতে পারেন। এবং আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় হলিউড পার্টিতে মুভি তারকা ও তাঁদের গন্যমান্য বন্ধুদেরকে বিনোদিত করতে। লাস ভেগাসে আমার নিজের শো প্রদর্শনের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে আমাকে কখনো ক্যাসিনোতে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। মাঝে মাঝে ঘটনাক্রমে আমি সমুদ্র সৈকত, মার্কেট কিংবা স্থানীয় খাবারের দোকানে পারফর্ম করি। আসলে না করে থাকতে পারি না। আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি এবং নিজে বুঝে ওঠার আগেই দেখি কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে গেল এবং আমি পারফর্ম শুরু করে দিলাম। আমি মাইণ্ড গেম বা মনের খেলা খেলে.......
পাঠকনন্দিত অনুবাদক অনীশ দাস অপু ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত লক্ষ্মী কান্ত দাস। ১৯৯৫ সালে এই কৃতি লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর পাস করেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি দেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকাগুলোতে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন, এবং ফিচার, গল্প ও উপন্যাস অনুবাদ করতে থাকেন। অনীশ দাস অপু এর বইগুলো সাধারণত থ্রিলার ও হরর ধাঁচেরই হয়ে থাকে। তবে ক্লাসিক ও সায়েন্স ফিকশনেও অনুবাদেও পিছিয়ে নেই তিনি। অনীশ দাস অপু এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ, আ স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর (সিডনি শেলডন), দ্য স্কাই ইজ ফলিং (সিডনি শেলডন), সিলেক্টেড মিস্ট্রি স্টোরিজ (আলফ্রেড হিচকক), শ্যাডো অফ দ্য ওয়্যারউলফ (গাই এন স্মিথ), ইলেভেন মিনিটস (পাওলো কোয়েলহো), প্রেত, শাঁখিনী, কিংবদন্তীর প্রেত, আয়নাপিশাচ, পিশাচবাড়ি ইত্যাদি। এ পর্যন্ত তাঁর অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। অনীশ দাস অপু এর বই সমগ্র বাংলাদেশের থ্রিলার ও হরর পাঠকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশে পাশ্চাত্য ধারার হরর গল্প ও উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে তিনি যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা, পেয়েছেন তুমুল পাঠকপ্রিয়তা। নিজের মূল পেশা হিসেবে লেখালেখি বেছে নিলেও অনীশ দাস অপু যুক্ত আছেন সাংবাদিকতার সাথেও। ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন এই কৃতি অনুবাদক ও লেখক।