এই বইটি নিয়ে রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ পারভেজ এবং অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগের আলোচনা "বইকথা, এপিসোড-৪" দেখুন।
`থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ বইয়ের সূচিঃ* লেখকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি- ১৭ * এক—সূচনা: চিন্তার শক্তি- ১৯ * দুই-সোনা থেকে তিন হাত দূরে- ২২ * তিন-আকাক্ষা: সকল অর্জনের সূচনা বিন্দু- ২৮ * চার-প্রতিটি ব্যর্থতার মাঝে লুকিয়ে থাকে সাফল্যের বীজ- ৩৩ * পাঁচ-বিশ্বাস: আকাক্ষা সিদ্ধি ও দর্শনের জন্য বিশ্বাস- ৪০ * কীভাবে বিশ্বাস গড়ে তুলবেন- ৪১ * আত্মবিশ্বাসের ফর্মুলা- ৪৩ * ছয়-অটো সাজেশন: অবচেতন মনকে প্রভাবিত করার মাধ্যম- ৪৮ * নির্দেশনাবলীর সারাংশ- ৫১ * সাত-ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কিংবা পর্যবেক্ষণ- ৫৩ * আট—কল্পনা শক্তি: মনের কর্মশালা- ৫৬ * কল্পনার দুটি রূপ- ৫৭ * কিভাবে কল্পনার বাস্তব ব্যবহার করবেন- ৫৯ * নয়—সংগঠিত পরিকল্পনা: আকাঙ্ক্ষাকে স্ফটিকস্বচ্ছ করে তোলা- ৬২ * নেতৃত্বের প্রধান গুণ- ৬৫ * দশ—চাকরি: চাকরির আবেদনপত্রে যেসব তথ্য থাকা প্রয়োজন- ৬৯ * আপনার আকাক্ষিত পজিশনটি কীভাবে পাবেন?- ৭১ * আপনার QQs রেটিং কেমন?- ৭২ * ব্যর্থতার ৩০টি কারণ- ৭৩ * নিজেকে জানার জন্য আত্মবিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন- ৭৮ * এগার—সিদ্ধান্ত: ধনী হওয়ার সপ্তম পদক্ষেপ- ৮০ * স্বাধীনতা অথবা মৃত্যুতে সিদ্ধান্ত- ৮২ * বার—ধৈর্য: বিশ্বাস উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা- ৮৪ * ধৈর্য নিয়ে আসবে সাফল্য- ৮৬ * ধৈর্যের অভাবের লক্ষণসমূহ- ৮৮ * ধৈর্যের উন্নতি ঘটাবেন কীভাবে- ৯২ * শেষ মহানবী: টমাস সার্জের রিভিউ- ৯৩ * তের-মাস্টার মাইন্ডের ক্ষমতা: চালিকা শক্তি- ৯৫ * ‘মাস্টার মাইন্ড' এর মাধ্যমে শক্তি অর্জন- ৯৭ * চৌদ্দ-সেক্স ট্রান্সমিউটেশনের রহস্য- ১০১ * দশটি মানসিক উদ্দীপক- ১০৩ * জিনিয়াস তৈরি হয় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দ্বারা- ১০৪ * পুরুষরা কেন কদাচিৎ চল্লিশের আগে সফল হয়?- ১০৫ * পনের-অবচেতন মন: সংযোগ স্থাপনের লিংক- ১১৩ * দিনরাত কাজ করে অবচেতন মন- ১১৩ * সাতটি প্রধান ইতিবাচক আবেগ- ১১৭ * সাতটি প্রধান নেতিবাচক আবেগ- ১১৭ * ষোল—মস্তিষ্ক: চিন্তা গ্রহণ এবং প্রেরণের স্টেশন- ১২০ * টেলিপ্যাথি- ১২২ * সতের-ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়: জ্ঞানের মন্দিরের দরজা- ১২৪ * অটো-সাজেশনের মাধ্যমে চরিত্র গঠন- ১২৬ * বিশ্বাস বনাম ভয়- ১৩২ * আঠার-ভয়ের ছয়টি ভূতকে কীভাবে তাড়াবেন?- ১৩৩ * ছয়টি মূল ভয়- ১৩৪ * দারিদ্র্যের ভয়- ১৩৫ * দারিদ্র্যের ভয়ের লক্ষণসমূহ- ১৩৭ * টাকা কথা বলে- ১৩৯ * মহিলারা হতাশা লুকিয়ে রাখে- ১৩৯ * সমালোচনার ভয়- ১৪০ * সমালোচনার ভয়ের লক্ষণ- ১৪১ * রুগ্ন বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের ভয়- ১৪২ * রুগ্ন বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের লক্ষণসমূহ- ১৪৪ * প্রেম-ভালোবাসা হারানোর ভয়- ১৪৬ * বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়- ১৪৭ * মৃত্যু ভয়- ১৪৮ * মৃত্যু ভয়ের লক্ষণ- ১৫০ * বুড়ো মানুষদের দুঃশ্চিন্তা- ১৫১ * শয়তানের কর্মশালা- ১৫৪ * নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কীভাবে রক্ষা করবেন নিজেকে?- ১৫৫ * আত্মবিশ্লেষণ পরীক্ষার প্রশ্ন- ১৫৬ * বাহানা- ১৬১ * যা কিছু অভিজ্ঞতার গল্প: কংগ্রেস সদস্যের চিঠি- ১৬৪ * স্বাধীনতা অথবা সিদ্ধান্ত গ্রহণে মৃত্যু- ১৭১
সূচনা চিন্তার শক্তি ত্রিশ বছর আগে এডুইন সি. বার্নেস আবিষ্কার করেন মানুষ যে সত্যি ভাবে এবং সমৃদ্ধি লাভ করে, কথাটি কতটা সত্যি। তবে তাঁর এ আবিষ্কার এক বসাতে আসেনি। অল্প অল্প করে তিনি বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন, শুরু করেছিলেন। বিখ্যাত এডিসনের ব্যবসায়ী সহযোগী হওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে। বার্নেসের আকাঙ্ক্ষা বা বাসনার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল সুনির্দিষ্ট। তিনি এডিসনের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তাঁর জন্য নয়। যখন এই আকাঙ্ক্ষা বা ইমপালস (তাড়না) তাঁর মনের মধ্যে প্রথম খেলে যায়, এটিকে নিয়ে কাজ করার মতো অবস্থানে তিনি ছিলেন না। তাঁর সামনে দু’টি কঠিন সমস্যা ছিল। প্রথমত মি. এডিসনের সঙ্গে তাঁর কোনো জানাশোনা ছিল না, দ্বিতীয়ত নিউজার্সির অরেঞ্জে যাওয়ার ট্রেন ভাড়া তাঁর কাছে ছিল না। এসব সমস্যা এরকম বাসনা চরিতার্থ করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষকেই নিরুৎসাহিত করে তুলত কিন্তু বার্নেস ছিলেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া….
আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা অলিভার নেপোলিয়ন হিল আত্মোন্নয়নধর্মী রচনা লেখকদের মাঝে প্রথমদিককার একজন। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও সফলতা লাভের বিভিন্ন দিক লেখনীতে তুলে এনে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সফল আত্মোন্নয়নমূলক লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হিলের। নেপোলিয়ন হিলের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সাউথইস্ট ভার্জিনিয়ায় ২৬ অক্টোবর, ১৮৮৩ সালে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শেষ পর্যন্ত ল'স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি। এর আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথে, সেই ১৩ বছর বয়স থেকে। ১৯০৮ সালে এন্ড্রু কার্নেগীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে হিলের জীবনে আসে বিশাল পালাবদল। তখনকার সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি কার্নেগী তাকে পরামর্শ দেন ধনী ও সফল ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিতে ও তাদের সাফল্যের সূত্র সম্পর্কে জানতে। এরপর তিনি বিশ্ববিখ্যাত সফল ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন। এই তালিকায় আছেন হেনরি ফোর্ড, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলসহ আরো অনেকে। এমন ৪৫টি সাক্ষাৎকারের লব্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি প্রকাশ করেন তাঁর প্রথম রচনা 'দ্য ল অব সাকসেস'। এই বইয়ে তিনি সাফল্যের সূত্রকে ব্যখ্যা করেছেন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, পুঁজিবাদের সমন্বয়ে মূর্ত দর্শন দিয়ে। নেপোলিয়ন হিল এর বই সমূহ সাফল্যগাঁথার চেয়ে সাফল্যের পেছনের সূত্র সহজীকরণের পাথেয় হিসেবে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিখ্যাত এই লেখকের চরিত্রের কিছু রহস্যময় বৈশিষ্ট্য মানুষকে ভাবিয়েছেও বটে। তিনি দাবি করতেন, আত্মাদের সাথে তাঁর যোগাযোগ আছে, তাঁকে দেয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান, সাফল্যের মন্ত্র। হিল এই বিষয়টি তাঁর ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত বই 'গ্রো রিচ(!) উইথ পিস অব মাইন্ড' এ খোলাখুলিভাবে বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে তাঁর জীবনের অজানা কিছু অধ্যায় উঠে এসেছে গবেষকদের চোখে। তবে নেপোলিয়ন হিল এর বই সমগ্র বিতর্কিত ব্যক্তিজীবনের প্রভাবেও জনপ্রিয়তা হারায়নি। তাঁর রচিত 'থিংক এন্ড গ্রো রিচ' সর্বকালের সেরা আত্মোন্নয়নমূলক দশটি বই এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নেপোলিয়ন হিল এর বই সমূহ হলো 'অ্যাটিটিউড মেন্টাল পজিটিভা', 'দ্য মাস্টার কি টু রিচেস', 'সাকসেস হ্যাবিটস' ইত্যাদি। বিতর্কিত চরিত্রের এই লেখক ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর বেশ রহস্যজনকভাবে মারা যান। ধারণা করা হয়, তিনি পারকিনসন্স সিন্ড্রোমে ভুগছিলেন।