অকালে প্রয়াত সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকান্দের বিচিত্র জীবনকথা নিয়ে তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষে যে সব আলাপ আলোচনা চললো তা এককথায় অভূতপূর্ব। তাঁর বাণী ও রচনা ও সেই সঙ্গে তাঁর বাল্যজীবন, পারিবারিক-জীবন, সন্ন্যাস জীবন, মহাসমুদ্রের ওপারে প্রচারজীবন এবং নবপ্রতিষ্ঠিত সঙ্ঘজীবন সম্বন্ধে বিশ্ববাসীর কৌতূহল এখনও সীমাহীন। ১৯০২ সালে তাঁর তিরোধানের সময় তাঁর বিস্ময়কর জীবনসংগ্রামের অতি অল্পকথাই আমাদের জানা ছিল। তারপর অসম্ভবকে সম্ভব করে নানা বিবেকানন্দ তথ্য প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের লেখক লেখিকারা অশেষ ধৈর্যের সঙ্গে সংগ্রহ করে আমাদের গভীর ঋণপাশে আবদ্ধ করেছেন। সেই সঙ্গে উঠেছে প্রশ্ন কি করে মৃত্যুর পরেই তিনি ভারতবর্ষের হৃদয়েশ্বর হয়ে উঠলেন? কেমন করে তাঁর সঙ্ঘ ও বাণী পাশ্চাত্যে বেঁচে রইলো? তাঁর সঙ্ঘভ্রাতা ও সন্ন্যাসী সন্তানরা কোন্ পথে বিশ্বের চিন্তানায়কদের রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দে আগ্রহী রাখতে সফল হলেন ? সাম্প্রতিকালে যে কটি বই বিবেকানন্দ অনুসন্ধানকে প্রাণময় করেছে তার মধ্যে রয়েছে শংকর-এর ‘অচেনা অজানা বিবেকানন্দ', ‘আমি বিবেকানন্দ বলছি’ ও ‘অবিশ্বাস্য বিবেকানন্দ'। এই ত্রিধারায় চতুর্থ সংযোজন ‘আশ্চর্য বিবেকানন্দ’, যা সর্ব অর্থে এক আশ্চর্য মানুষের আশ্চর্য সংগ্রামের আশ্চর্য বর্ণনা ।
শংকর একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তাঁর আসল নাম মণিশংকর মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল চৌরঙ্গী, সীমাবদ্ধ এবং জন অরণ্য। এই তিনটি বই নিয়ে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট সম্মানে ভূষিত হন।