"আনাড়ির কাণ্ডকারখানা -৫ : সোডা-ওয়াটার গাড়িতে আনাড়ি" বইয়ের কিছু অংশঃ নাট আর তার সাকরেদ বল্ট খুবই ওস্তাদ মিস্ত্রী। দু’জন তারা হুবহু একই রকম দেখতে, পার্থক্য কেবল নাট এই একটুখানি লম্বা, আর বন্টু এই এত্তটুকুন বেঁটে। দু'জনেই পরে চামড়ার কোর্তা। আর সেই কোর্তার পকেটে সর্বক্ষণ থাকে উখো, ক্রু ড্রাইভার, সাঁড়াশি, রেঞ্চ আর আরও নানা যন্ত্রপাতি। তাদের কোর্তার মত পকেটও যদি চামড়ার না হতো তাহলে বহুকাল আগেই সেগুলো ছিড়ে ফুটিফাটা হয়ে যেতো। তাদের টুপিও চামড়ার, আর সেই টুপির সঙ্গে লাগানো একজোড়া করে কালো কাচের চশমা। নাট আর বন্টু কাজ করার সময় চোখের ওপর চশমা নামিয়ে নেয়, যেন চোখে ধুলোবালি বা অন্য কোন ময়লা পড়তে না পারে। নাট-বল্ট সারাদিন ধরে তাদের কারখানায় বসে তেলের স্টোভ, হাঁড়ি-কুড়ি, কেটলি, মাংস কিমা করার যন্ত্র এসব মেরামত করে। আর যখন মেরামত করার কিছু থাকে না তখন তারা বসে বসে তিন চাকার সাইকেল, ঠেলা-সাইকেল এসব বানায় ছেলে-টুকুনদের জন্য। একদিন, নাট আর বন্টু কাউকে কিছু না বলে কারখানার ভেতর নিজেদের আটকে ফেলে কিছু একটা জিনিস তৈরি করতে লেগে গেল। পুরো একমাস ধরে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে, না দেখিয়ে, সকলের চোখের আড়ালে হাতুড়ি, করাত আর উখো চালিয়ে গেল, ঝালাইয়ের কাজ করলো। একমাস কেটে যাবার পর দেখা গেল তারা একটা আস্ত মোটরগাড়ি বানিয়ে ফেলেছে।