ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমাদের দেশে সাহিত্য-সংস্কৃতি ও তার আন্দোলনের সাখে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে যে পুরুষকে তিনি হচ্ছেন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন প্রবীন সাংবাদিক। এ ক্ষেত্রে আমরা তাঁকেই চিহ্নিত করে থাকি। প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও মধ্যরাতের অশ্বারোহীর মতো পুস্তক এযাবত তিনিই কেবল লিখেছেন। কিন্তু ছড়ার জগতে তাঁর অবদান আমাদের সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করেছ। কিন্তু তাঁর সংবাদপত্রের ‘কলাম’ বা ব্যাপক নিবন্ধ সমহার আমাদের চমৎকৃত করেছ। প্রায় কুড়িটি প্রবন্ধ-নিবন্ধের পুস্তক তাঁর রচনাবলিকে অন্য এক মাত্রায় উদভাসিত করেছে। তাঁর এ সমস্ত রচনার প্রায় পঞ্চাশটি এই পুস্তকে আদৃত হলো। এ যাবৎ ফয়েজ আহ্মেদের আশিটির মতো পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু সাহিত্যিক পুস্তকের সংখ্যা অর্ধেক, যার প্রায় সবটাই ‘ছড়া। ছড়া সাহিত্য তাঁকে আমরা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলে মনে করি। তাঁর চীন ও অন্যান্য দেশের প্রচুর কবিতা অনুবাদ আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশেষ করে চীনা কবিতার অনুবাদ উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি এ বছর বাংলা একাডেমী তার শতাধিক মেইল ছড়ার ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেছে। আরো সাত শতাধিক নতুন ছড়া লেখকের কাছে রক্ষিত রয়েছে। এবার লেখকের চার খন্ড সমগ্র প্রবন্ধের পুস্তক একত্র ঢাকার একটি সম্ভ্রান্ত প্রকাশক করেছেন। গদ্য রচনায় তিনি এক নতুন রীতি ও ধারার প্রবর্তন করেছেন বলা চলে-“মধ্যরাতের অশ্বারোহী” তার নমুনা। এ ধরনের রচনা আমাদের সাহিত্যে বিরল। জনাব ফয়েজের বৈচিত্রপূর্ণ জীবনের সবটা এখানে তুলে ধরা যাবে না। আজীবন সাংবাদিক হিসেবে তিনি রাষ্ট্রিয় সংবাদ প্রতিষ্ঠান “বিএসএস”-এর প্রথম প্রধান সম্পাদক ছিলেন ১৯৭২ সালে। ১৯৭৩ সালে তিনি ‘বংগবার্তা নামক একটি সরকার -সমালোচক দৈনিক ‘বংগবার্ত্তার’ প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত হন। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি সামরিক শাসন বিরোধী ‘স্বরাজ’ কাগজের সম্পাদনা করেছেন। এই কাগজটি সামরিক বাহিনী ২৯ মার্চ ধ্বংস করে দেয় এবং অফিস বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৫০ সালে তিনি শিশু-কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘হুল্লোড়’ সম্পাদনা করেন। এরও পূর্বে তিনি ছিলেন ‘ইত্তেফাক’, ‘সংবাদ’, ‘পূর্বরদশ’ ও ‘আজাদ’ পত্রিকার চীফ রির্পোটার। জনাব ফয়েজ ১৯৭১ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ পুরুষ্কার ‘একুশে পদক’ লাখ করেন। তা’ছাড়া বাংলা একাডেমী পুরুষ্কার, বাংলা একাডেমী পান্ডুলিপি পুরুষ্কার লাখ করেন। বাংলা একাডেমী পান্ডুলিপি পুরুষ্কার, মোদাব্বের-হোসনে আরা পুরুষ্কার, ঋষিজ পুরুষ্কারসহ আরো কয়েকটি পুরুষ্কার লাভে করেছেন।
সূচিপত্র আজকের বিএনপি’র পদক্ষেপ ভারতে ধনবাদ ও মৌলবাদের সঙ্গে বিজেপি’র সমন্বয় গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাই যথেষ্ট কি? সংসদ এখন আর রাজনীতির কেন্দ্রস্থল নয় তারুণ্যের সংগ্রামী উথান একুশের প্রেরণা সমঝোতার শর্ত ও পার্লামেন্টের নিকট ভবিষ্যত ধর্মান্ধ বিজেপি সেক্যুলার ভারতের পতন প্রত্যাশী আগামী শতাব্দীর পূর্বেই চেতনাসমৃদ্ধ উথান অধিকার বঞ্চিত নারী নির্যাতনের শিকার হবেই শান্তি চুক্তি সম্পর্কে সন্তু লারমার বক্তব্য পার্বত্য অঞ্চলে সমঝোতা হলেও প্রকৃত শান্তি দুরূহ বাংলাদেশে মার্কিন ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ বিশ্ব পরিচালকের ভূমিকায় সন্ত্রাস কেবল শিক্ষাঙ্গনে নয়-দেশময় পার্বত্য অঞ্চলে পুনরায় বিদ্রোহীদের পদধ্বনি কাচপুরের ঘটনা থেকে খালেদা জিয়ার অগ্রগমন কাশ্মীর ইস্যুতে আণবিক প্রশ্নে মধ্যস্থতার সুযোগ নেই আর নয় রুবেলদের হত্যা মানবিকতাই যেন লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ বোমা বাজপাই’র নয়-ভারতের বাংলাদেশে ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার জন্য আমেরিকার উগ্র চাপ মার্কিনিদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ব্যাভিচারের অভিব্যাক্তি ফোবানা : মুক্ত আলোচনার প্রয়াস ছিল দুঃসাহস কখনও হালাল কখনও হারাম পার্বত্য অঞ্চলে পুনরায় শান্তিবাহিনী গঠিত? নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মৌনসভা ও একটি সোচ্চার প্রতিবাদী সমাবেশ কেবল শাসনতন্ত্রই নারী অধিকারের গ্যারান্টি নয় শোষিত-বঞ্চিত আদিবাসীদের দাবি সংসদের শিথিল সমঝোতার স্থায়িত্ব কতদিন জনহিংতর মূল দাবীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমস্যার সমাধান প্রয়োজন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি নারীকে সহজলভ্য করেছে কলঙ্গিত সমাজে সীমা চৌধুরী হত্যা একটি প্রতীক তেং-এর মুত্যু তাঁর ধনবাদী নীতির মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি? আজান দিয়েও তারা মুসলিম রূপে গণ্য হয়নি আলবেনিয়ায় ধনবাদ-বিরোধী বিদ্রোহে পরাশক্তি বিব্রত তেং-এর ধনবাদীনীতির বিপরীতে জেমিন যাবে? এখনো হে-মার্কেটের শ্রমিক নির্যাতন অব্যাহত পার্বত্য এলকার জটিল পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে ফুজিমোরি : বিদেশ সফর করেও হত্যাকলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে না সমাজের পচনশীলতা রোধ করা বাঞ্ছনীয় নবরূপায়ণের নীতিতে ভিয়েতনাম আধুনিক পথ খুঁজছে নব প্রজন্মের কোলাহলে হ্যানয়ে সূর্যাস্ত হয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুকুট থেকে শেষ হীরক খন্ডের পতন নবরূপে হংকং-এর স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন গার্মেন্টস শ্রমিকরা দেশি-বিদেশি অর্থ তস্করদের শিকার উগ্র মৌলবাদী শক্তির পুনরুথান প্রতিরোধ জরুরি এখনই মৌলতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে রুখে দাঁড়াতে হবে ক্ষমতার লড়াই হত্যা করছে জীবনের সত্যকে বিদেশী ঋণ প্রাপ্তির প্রশ্নে দুটি বৃহৎ দলই বিশ্বাসী নিজ স্বার্থেই আমেরিকা ক্রিদেশীয় সম্মেলন চায় এরশাদের পতন ও সংক্ষিপ্ত প্রেক্ষাপট শান্তিচুক্তির শর্তগুলো প্রকৃত শান্তির বাহক কি শান্তিচুক্তি নিয়ে বিরোধীদলের সাথে বৈঠক অপরিহার্য
তিনি সারাজীবনই প্রধানতঃ শিশু-কিশােরদের জন্য ছড়া। ও কবিতা লিখেছেন। বর্তমানে তাঁর বইয়ের সংখ্যা ১০০। এর মধ্যে ৫০টি শিশু-কিশােরদের জন্য ছড়া ও কবিতার পুস্-ক। অধ্যাপক কবীর চৌধুরী তাঁর চারটি শিশুপু-ক ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। তাঁর লেখা। ছড়া নিয়ে এশটি আব"ত্তি ও এশটি সঙ্গীতের ক্যাসেট বেরিয়েছে। তাঁর বইগুলাের মধ্যে মধ্যরাতের অশ্বারােহী’ ট্রিলজী সবচাইতে বিখ্যাত। এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ পুস্-ক বলে বিবেচিত ছড়ার বইয়ের মধ্যে হে কিশাের', কামরল হাসানের চিত্রশালায়’, ‘গু"ছয়ড়া, ‘রিমঝিম’, ‘বোঁ বোঁ কাটা’, ‘পুতলি’, ‘কালে যাঁর কামান’, ‘টুং’, ‘জোনাকী’, ‘ড়ি নেই’, ‘ছােট ছেলে জামারে’, ‘প্রিয়ং’, ‘তুলির সাথে লড়াই’, ‘টিউ টিউ’, ‘একালের ছড়া’, ‘য়ড়ায় ছড়ায় ২০০' বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। চীনসহ বিভিন্ন দেশের কবিতার পাঁচটি বই তিনি অনুবাদ করেছেন। এর মধ্যে হাে চি মিন’ -এর জেলে কবিতা বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। দশটি দেশের অনুবাদ কবিতার বই-এর নাম ‘দেশা-রের কবিতা'। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে প্রেসকাবে রাতে ২৫শে মার্চ আশ্রয় নিয়ে তিনি পাকিস্-নী বাহিনীর আক্রমনে আহত হন। রাত ১১টায় আশ্রয় নেবার ভাের রাতে ঔ ২৪ ট্যাংক দিয়ে শত্র"বাহিনী প্রেসকাবে তাঁর আশ্রয় ক েদোতলায় গােলাবর্ষণ করে। তিনি বাঁ উর"তে আঘাত পেয়ে মেঝেতে পড়ে থাকেন। ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ সকাল দশটায় কারফিউ ওঠার পর তিনি চিকিৎসার জন্য বেরিয়ে যান।