"টিভি নাটক নির্মাণ কৌশল" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বইটিতে একটি নাটক বা অনুষ্ঠান নির্মাণের সূচনা পর্ব থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত কার্যক্রমের সবগুলো বিষয় ক্রমানুসারে আলোচিত হয়েছে আলাদা আলাদা পরিচ্ছেদ আকারে। শুরু হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের প্রথম ধাপ সিনোপসিস দিয়ে। ক্রমান্বয়ে এসেছে চিত্রনাট্য, শুটিং স্কিপ্ট, শিল্পী নির্বাচন, স্থান নির্বাচন, ক্যামেরা ভাষ প্রভৃতি বিষয়গুলো। শুটিং বা ধারণ কার্যে একজন নির্মাতাকে যে সকল বিষয় নিয়ে ভাবতে হয় অর্থাৎ কম্পোজিশন, ক্যামেরা অ্যাংগেল, ক্যামেরা মুভমেন্ট, এক্সিস লাইন- প্রভৃতি বিষয়গুলো উঠে এসেছে প্রাজ্ঞ বর্ণনায়। অনুষ্ঠান ধারণ পরবর্তী সম্পাদনা, মন্তাজ প্রভৃতিও আলোচিত হয়েছে। পাঠকের জন্য বাড়তি পাওনা হিসেবে হুমায়ুন কবীর তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছেন একজন নির্মাতার সাথে কলাকুশলী, শিল্পী এবং অন্যান্যদের সম্পর্ক কেমন হলে ভালো একটি নির্মাণ আশা করা যায় তাও। বইটিতে যে সকল প্রসঙ্গ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে তার প্রতিটি নিয়েই আলাদা আলাদা বই হতে পারে তবে তা সামগ্রিকভাবে হয়ত সব পাঠকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এ বইটিকে সব বিষয়ের সংক্ষিপ্তসার বলতে পারি।
মােহাম্মদ হুমায়ুন কবীর একজন পেশাদার চিত্র গ্রাহক। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর একজন দক্ষ চিত্রগ্রাহক হিসাবে নিজ গুণে প্রতিষ্ঠিত, বিদগ্ধ বিদ্বজন। ক্যামেরার পেছনে যিনি থাকেন-তিনি নিজেকে আড়ালেই রাখেন। কবীর যেন আরাে বেশী আড়ালের, আরাে বেশী নেপথ্যের। কিন্তু তার বিদগ্ধতা তাকে যেন দগ্ধ করে-অন্যের মূঢ়তায়। যখন দেখেন ক্যামেরা কৌশল যথার্থ না জানায় কত অসাধারণ মুহূর্তের ধারণ যথার্থ হয় না-অনেক সম্ভাবনাময় দৃশ্যধারণ অপাংক্তেয় হয়ে যায় । তিনি তাগিদ অনুভব করলেন-ক্যামেরার পেছনের মানুষের প্রায়ােগিক জ্ঞান বাড়াতে হবে। এই তাড়না থেকেই সাবলিল ভাষায় সহজ কথায় তাঁর এই রচনা। ক্যামেরা কৌশল সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বেশ কাজে লাগবে । মােহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৬২ টাংগাইলের এক গ্রামে। তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ স্বাধিকার আন্দোলন এবং শামসুল হক।