“বিদ্রোহী জাতক" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মদ-বিন-বখতিয়ার খলজীর। নদীয়া বিজয় (১২০৩ খৃঃ) থেকে দাউদ খান কররানীর রাজমহলের যুদ্ধ (১৫৭৬ খৃঃ) বাংলা মুলুকের পৌনে চারশাে বছরের ইতিহাস। গোঁড-পান্ডুয়া- তার মুসলমান শাসনের এক অবিস্মরণীয় ও ঐতিহ্যময় ইতিহাস। সাধারণের কাছে এ ইতিহাস আজও প্রায় অন্ধকারে। এই সময়ের মধ্যে এই বাঙ্গালা মলকের ইতিহাসে এত বিচিত্র ঘটনাবলী আছে, যা নিয়ে অসংখ্য কাব্য, মহাকাব্য ও গল্প-উপন্যাস হতে পারে এবং যা হলে এই সময়ের ইতিহাস সহজেই জনসাধারণের নাগালের মধ্যে আসতে পারে। এমনই এক বােধ নিয়ে লেখক আপাতত সাতখানা উপন্যাসের মাধ্যমে এই পৌনে চারশাে বছরের ইতিহাসকে যথাসাধ্য জনগণের নাগালের মধ্যে আনার কাজে হাত দিয়েছেন। এখন তার এই সাতখানা ঐতিহাসিক উপন্যাসের সিভি লেখাও প্রায় সমাপ্ত হয়ে এসেছে। উপন্যাসগুলি যথাক্রমে 'বখতিয়ারের তলােয়ার, গৌড় থেকে সােনার গা,' ‘যায় বেলা অবেলায়, 'বিদ্রোহী জাতক’, ‘বার পাইকার দুর্গ, রাজবিহঙ্গ, শেষ প্রহরী। উল্লেখ্য, এই উপন্যাসগুলাে প্রত্যেকটিই এক একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ উপন্যাস। কোনটাই কোনটার অবশিষ্ট অংশ নয়। অন্যগুলাের মতাে বিদ্রোহী জাতক’ও উপন্যাস, ইতিহাস নয়। ইতিহাসের নিস্তব্ধতাকে কল্পনা দিয়ে সরব করতে হয়েছে। তবে কল্পনা পৃথক থেকে উপন্যাসের চাহিদাটকুই পূরণ করেছে শুধু, ইতিহাসের মধ্যে তাকে আদৌ ঢােকানাে হয়নি বা ঐতিহাসিক সত্যকে ক্ষুন্ন করা হয়নি।