ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশেল সংস্কৃতি অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় নাম রামেন্দু মজুমদার। জন্ম ১৯৪১ সালে লক্ষ্ণীপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ করেছেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞাপন শিল্পকে।
থিয়েটার নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, থিয়েটার পত্রিকা ও থিয়েটার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন রামেন্দু মজুমদার।
বাংলাদেশের নাটককে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করাতে তিনি পালন করেছেন অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৮২ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট (আইটিআই)এর বাংলাদেশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। আজ তিনি আইটিআই -র বিশ্ব সভাপতি। বর্তমানে বাংলাধেশ শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও ঢাকা আর্ট সেন্টারের সভাপতি। অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেরও তিনি সভাপতি।
তাঁর মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৮। লাভ করেছেন একুশে পদক ও বাংলা একাডেমী ফেলোশীপ। প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার তাঁর স্ত্রী। তাঁদের একমাত্র সন্তান প্রতিভাময়ী অভিনয় শিল্পী ও নির্দেশক ত্রপা মজুমদার।
জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাস করার পর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অধ্যাপনাকে। পরবর্তীকালে বিজ্ঞাপনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হন, কাজ করেন করাচি ও নয়াদিল্লিতে এবং ১৯৭২ থেকে ঢাকাতে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ দেশের প্রথম নাটকের পত্রিকা থিয়েটার প্রকাশ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যগোষ্ঠী ‘থিয়েটার’। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে নাটক করেছেন, দীর্ঘদিন সংবাদ পাঠ করেছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই)র বাংলাদেশ কেন্দ্র ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আইটিআই-র বিশ্ব সভাপতি ছিলেন ছয় বছর, বর্তমানে সাম্মানিক সভাপতি। বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে লাভ করেছেন একুশে পদক ও বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য।