বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগ। বিজ্ঞানের অগ্রগতির পূর্ণ বিকাশে পৃথিবীর সবকিছু পাল্টে গেছে। নানা বিচিত্র পথে বিজ্ঞানের অভিযাত্রা। দীর্ঘ সাধনা, অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, তত্ত্বসৃষ্টি, প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন ও নিয়ম আবিষ্কার, যন্ত্র নির্মাণ ও পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ- মানব সভ্যতার মতই বিজ্ঞানের বয়স দীর্ঘ, এর শিকড় অনেক গভীরে। সকল বিজ্ঞানীই ধাপে ধাপে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অসীম সাহসের সঙ্গে। বিজ্ঞান তাই এক ধরনের সাহসিকতা। বিজ্ঞানে আমরা তথ্য খুঁজি নানা বস্তু ও প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে যা পরীক্ষালব্ধ ও নির্ভরযোগ্য। বিজ্ঞান তাই প্রকৃতি সম্পর্কে পরীক্ষিত জ্ঞান, বিন্যস্ত তথ্য। বিজ্ঞান তাই সুন্দরের সাধনা । একজন তৃষ্ণার্ত তার পিপাসার কথা জানাতে পারাকে স্বাধীনতা বলে জানে। কিন্তু যে তৃষ্ণার্ত পানির সন্ধান জানে, মাটির গভীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি তুলে আনার কৌশল যার জানা, তার স্বাধীনতা আরো ব্যাপক। বিজ্ঞান সেই ব্যাপকতর স্বাধীনতা- আমাদের ইচ্ছাকে শুধু প্রকাশ করা নয়, তাকে পূরণ করার স্বাধীনতাও নিশ্চিত করে বলে। বিজ্ঞান এক অন্তহীন সংগ্রাম। সমাপ্তিহীন দুর্গম পথযাত্রা। স্থান, কাল ও সেমান্তিহী ব্যক্তি নিরপেক্ষ সত্যের সন্ধান করতে গিয়ে বিজ্ঞান ক্রমাগত অতিক্রম করে যায় পুরানো গণ্ডি। বিশেষ দেশ, বিশেষ ভাষা, বিশেষ জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রূপ পেতে চায় বিজ্ঞানের সত্য। বিজ্ঞানের ব্যবহৃত সংকেত, গাণিতিক সূত্র, শ্রেণি ভাগ ও বিশ্লেষণ যে ভাষাতেই প্রকাশিত হোক না কেন, এর অন্তর্নিহিত বক্তব্য ভাষা নিরপেক্ষ হতে প্রয়াস পায়। অর্থাৎ প্রায় নির্ভুলভাবে বিজ্ঞানের সত্যকে ভাষান্তরিত করা সম্ভব। বিজ্ঞানের যে তথ্য ভাণ্ডার ও তত্ত্বের সমাবেশ তা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন জাতি ও ভাষা-ভাষী মানুষের অবদানে গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞান তাই এক ধরনের আন্তর্জাতিকতা । বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা পৃথিবীকে করেছে সুন্দর ও আধুনিকতার আবাসস্থল । আর এই অগ্রগতির রয়েছে সুদীর্ঘ পথচলা। নানা আবিষ্কার, গবেষণা ও ত্বত্ত্বের সমাহার। সেসব জ্ঞানের বিষয়বস্তুকে জানতে বিজ্ঞানের মজার প্রশ্ন ও সমাধান একটি সহজবোধ্য প্রয়াস বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।