বিশ্বনবী (সা.)-এর অনুপম আদর্শ মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের অবিসংবাদিত জীবন বিধানরূপে সমাদৃত হয়ে আসছে। জীবনের সর্বদিক থেকে সফল এমন ধর্মপ্রচারক বিশ্বে বিরল। বলতে গেলে দ্বিতীয়টি আর নেই। তাই তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। আজকের এই সমাজ গঠন ও তরুণ যুবসমাজের আদর্শ ও নৈতিক শিক্ষার ভীত তৈরি করতে এবং নিজেদের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সুনাগরিকরূপে গড়ে তুলতে বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শের অনুসরণ অপরিহার্য বিধানরূপে সকল জাতির কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বের সকল মনীষী ও ধর্মপ্রচারকের ধর্মগ্রন্থে এই মহামনীষীর আগমন সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়েছেন সকলেই। অথচ আমরা মুসলমান হয়েও তাঁর আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্ত বায়ন করতে পারিনি বিধায় আজ আমাদের এই অধঃপতন বলে সকলেই একমত হয়েছেন। আজকের কিশোর, তরুণ ও যুবসমাজের জন্য বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ জীবনের অপরিহার্য বিধান হিসেবে অগ্রগণ্য। কারণ বর্তমান সমাজে ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, হানাহানি, জঙ্গীবাদ, অরাজকতা, প্রতিহিংসা, মিথ্যা, জাতিয়াতি, চুরি-ডাকাতি ও দুর্নীতি করে রাতারাতি সম্পদশালী হওয়ার মনোভাব মুসলমান জাতিকে নিম্নস্তরে নিমজ্জিত করেছে। যে জাতি বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ ও ধর্ম পালন করে বিশ্বের সকল জাতির উপর প্রভুত্ব করার দাবীদার আজ সে জাতির অধঃপতন বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছে। বিশেষ করে চিন্তাশীল গবেষক, নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম ও ধর্মপথের সঠিক দিশারীগণের দুশ্চিন্তা ও হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুসলিম জাতির এই অধঃপতনের বিষয়টি। বিশ্বনবী (সা.)-এর প্রকৃত আদর্শ, অনুপম চরিত্র ও তাঁর প্রিয় সাহাবা আজমাঈনগণের ত্যাগ ও আনুগত্যের মহান শিক্ষা-দীক্ষায় মুসলমান জাতি আজও নিজেদের গড়ে তুলতে পারেনি। তাইতো মুসলমান হয়েও বিশ্বনবীর অনুপম আদর্শ ও সঠিক শিক্ষা আমাদের সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। আজ সর্বত্রই ধর্মের নামে অধর্ম, জঙ্গীবাদ, অন্ধবিশ্বাস ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ যেন ধর্মেরই একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ আরবী বিদ্বান হয়েও বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শবিচ্যুত এ শিক্ষাই আজ মুসলমানদেরকে দিয়ে যাচ্ছে ধর্মের অপশিক্ষায় শিক্ষিত এক জাতীয় ধার্মিক গোষ্ঠী। এই অপশিক্ষা তাদের মন-মগজ থেকে উৎসারিত হয়ে পৃথিবীর নানা দেশে জঙ্গী ও আধুনিক সন্ত্রাসবাদের জন্মদিয়েছে। যা কোনো মুসলমানের কাম্য হতে পারে না। তাই আজকের কিশোর, তরুণ ও যুবসমাজের বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শিক জীবন পদ্ধতি, অনুসৃত নীতি, ত্যাগ, চারিত্রিক গুণাবলি, সত্যবাদিতা, অসাম্প্রদায়িকতা, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তির সনদসহ ব্যক্তি জীবনের উৎকর্ষতার জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্যরূপে গৃহীত ।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।