বরিশাল জেলার মেঘনা বিধৌত শ্যামল-ছায়াময় গ্রাম বদরপুরে ১৯৪৪ সালের ২৬শে আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন মাহমুদউল্লাহ। পিতা মৌলবি আজিজুর রহমান, মাতা আমিনা বেগম। তিনি আয়কর বিভাগ, পত্র-পত্রিকা, বেতার, টিভি, একাডেমি প্রভৃতি অঙ্গনে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। মাহমুদউল্লাহ রচিত উল্লেখযােগ্য বইগুলাের মধ্যে রয়েছে- ছড়া-কবিতা: ছানাবড়া, তােলপাড়, চড়ইভাতি, তিতকুটে, নিরালা দুপুর, মায়াবী জাহাজ, ঝিলিকমিলিক, ছয় ঋতুর আলপনা, মজার ছড়া,ঘুঙুর, রঙিন ঘুড়ি, ভােরের পাখিরা ডাকে গাবডালে আবডালে, বকের ঠোটে পুঁটি এবং ও রােদসী। কিশাের উপন্যাস : মেঠো পথ, মিছিল, চিতু ও পাতু, বেনু থাকে শহরে, ডাইনি। নাটক : দুই কবি, বেতাল বুড়াের কবলে। গল্প-উপকথা : হীরের টুকরাে গল্পগুলাে, আলােকিত জীবন গড়ার গল্প । বড়ােদের জন্য লিখেছেন- উপন্যাস : দাবদাহ, ধানস্বপ্ন, তৃণমূলে অজগর। ছােটোগল্প : দুর্ভিক্ষ অনন্তকাল। নাটক : হুজুর এলেন লাইনে, অসুন্দরের থাবা। তার সমগ্র সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একশাে ছড়া, শিশু-কিশােরসমগ্র, ছড়াসংগ্রহ, ছড়াসমগ্র, শিশুতােষ শত ছড়া, কিশাের কবিতা চয়ন। এছাড়াও রয়েছে কিশাের উপন্যাস সংকলন, মাহমুদউল্লাহর তিনটি কিশাের উপন্যাস এবং শ্যামল মাটির দেশ। রয়েছে জীবনী সংকলন সেরা দশ মহাজীবন, সেরা বারাে দেশ বরেণ্য মনীষী। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ঢাকা সংস্কৃতি সংসদ পুরস্কার, আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন।