ভূমিকা পাঠকদের চাহিদা নতুন কিছু। আল্লাহ্র বক্তব্য অপরিবর্তনীয়। বলা যায় আরো সুন্দর করে নিজের ভাষায়, যা হবে বাতাসের মতো স্বচ্ছ, পানির মতো নিৰ্মল । অবাধ্যতার ফসল নিয়ে আসবে চিরকালের অন্ধকার প্রকোষ্ঠ। সুন্দর ও ভালো চিন্তা আনবে সুন্দর জীবনের কল্যাণধারা। এ জীবনের গোধূলীর ম্লান আলোকে অনুবাদে অংশ নিয়েছি আরবি ও ইংরেজি ভাষা থেকে। গ্রন্থটি বিশ্বাসীদের জন্যে। আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন। প্রভাতে যা শুনেছি, মনের মধ্যে তার গুঞ্জরণ। আজান: আস্সালাতু খয়রুম মিনান নাউম। নিদ্রার চেয়ে উপাসনা উত্তম। প্রদীপটি উপস্থিত, প্ৰয়োজন প্রজ্জ্বলনের। প্রভুর আহ্বান: কুরআন আঁকড়ে ধর, আবৃত্তি কর, গেঁথে নাও হৃদয়ে, সেই মতো যাপিত হোক তোমার জীবন, সর্ববিপদ থেকে রক্ষা করতে সমর্থ কুরআন। বিপদ বলে যা প্রতীয়মান, সাময়িক তা। যে জীবনকে মনে হচ্ছে কারাগার তা থেকে হবে মুক্ত কুরআনের মাধ্যমে, এ জীবন ও পরজীবনেও। আল্লাহ্ বলছেন, কুরআনকে সম্মান করলে আমাকেই সম্মান করলে। কুরআনের বাণী নক্শা করে নাও হৃদয়ে । মজিদে দেখা কিছু মানুষের। এদের ‘সির্হ' অর্থাৎ হৃদয়ের গোপন প্রদেশে আল্লাহ্র উপলব্ধি ও উপস্থিতি, জাগতিক ক্ষুধা তৃষ্ণা অবলুপ্ত। বলছেন: হৃদয় সহসা আনন্দঘন ও রসাপ্লুত, টের পাই নি। নতুন সওদার জন্যে আজ প্রস্তুত, যেমনটি শুনেছি: “ইসলামেরই সওদা লয়ে এল নবিন সওদাগর'। সওদাগর আমার নবি মুহাম্মদ (স), যাকে নিয়ে যৌবনের স্বপ্ন। অধমের নিবেদন: ‘মুহাম্মদের নাম'। কুড়ি বছর পর ফিরছি কুরআনের সওদা নিয়ে। হিদায়েতের পথে যদি নিজে ফিরতে পারি ও একজনকেও ফেরাতে পারি, সেটি সর্বশ্রেষ্ঠ পাওয়া। আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন। ‘কুরআনের ঐ জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে লুটে' নে রে, লুটে' নে সব ভোরে তোল্ তোর শূন্য ঘর’ আল্লাহ্ শুনেছেন অন্তরের কান্না, যদিও অধমের ক্ষেত্রে অবগাহন সামান্যই । বসে আছি প্রভুর সামনে, জাগতিক আকাঙ্ক্ষার উর্দ্ধে সার্বক্ষণিক পরিপূর্ণ দাসে রূপান্তরিত হওয়ার অভিপ্রায়ে । পরম আকাঙ্ক্ষা যদি হয় পবিত্রতা অর্জন, এ কাজই তবে সর্বোত্তম। পবিত্র থেকে পবিত্রতর হতে কার না সাধ জাগে জীবনে? কুরআন যাত্রার এ মুহূর্তে প্রথম ও শেষ অভীষ্ট: আল্লাহ্র প্রতি পরিপূর্ণ সমর্পণ। আলহাম্দুলিল্লাহ্ ।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী (জন্ম: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৬) একজন বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত বিষয়ক অধ্যাপক ও গবেষক। তিনি লোক সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার আব্বাসউদ্দীন আহমদের কনিষ্ঠপুত্র। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকে ভূষিত হন এবং লেখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির "কাজী নজরুল ইসলাম এবং আব্বাসউদ্দীন আহমদ গবেষণা ও শিক্ষা কেন্দ্র" এর গবেষক। নজরুল ইসলামকে নিয়ে তার কাজের জন্য তিনি ২০১৩ সালে নজরুল মেলায় আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। তার বোন ফেরদৌসী রহমান একজন সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী। আব্বাসী ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ মুহম্মদ হোসেন খসরু এবং ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খাঁর নিকট সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেন। তিনি মোট ৫০টি বই রচনা/সম্পাদনা করেন। তিনি ভাওয়াইয়া গানের উপর দুটি বই প্রকাশ করেন যার মধ্যে ১২০০ গানের উল্লেখ রয়েছে। তিনি আমার ঠিকানা এবং ভরা নদীর বাঁকে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। অনুষ্ঠান দুটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হত।