“বেদে বাইজি ও হিজড়াদের কথা " বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ‘বেদে বাইজি ও হিজড়াদের কথা’ নামেই বােঝা যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী বিষয় নিয়ে লেখা। আমাদের সমাজে পেশা হিসেবে বাইজিরা এখন প্রায় বিলুপ্ত। কিন্তু রয়েছে বেদে সম্প্রদায়। রয়েছে হিজড়া। তাদেরকে। প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। বেদে’ এবং ‘হিজড়াদের এড়িয়েই চলতে চায় সাধারণ মানুষ। তাদের ব্যাপারে আগ্রহ কম। পত্র-পত্রিকা এবং সাহিত্যে উপেত্নিাত উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে কখনাে কখনাে ‘বেদে’ ‘বাইজি’ এবং ‘হিজড়া সম্প্রদায়কে নিয়ে যে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হয় না তা নয়। তবে যেটা ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রমকে উপজীব্য করে স্বপন কুমার দাস দৈনিক সংবাদ, পাকি একপঙ্গ, পাকি প্রিয়মুখ, সাহিত্য সাময়িকী বিন্দুবিসর্গ-এ লেখালেখি করেছেন। বেশি সংখ্যক লেখা সংবাদ-এর পাতায় প্রকাশিত হয়েছে এবং সেগুলাে সংকলিত করে প্রকাশিত হচ্ছে ‘বেদে বাইজি ও হিজড়াদের কথা। পাঠক নিশ্চয় স্বপন কুমার দাসের লেখায় যেমন তথ্য পাবেন তেমনি আমাদের সমাজের উপেঙ্গিত বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবেন। বাইজিদের কথাটাও জানবেন অতীতের গভ থেকে। এর প্রয়ােজন রয়েছে একটি সমাজের সম্মুখের দিকে অগ্রসর হতে হলে এর প্রতিটি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন অপরিহার্য। উন্নয়নের জন্যেই প্রতিটি সম্প্রদায়ের আত্মক্রিয়া প্রয়ােজন। এর জন্যে জানতে হবে প্রতিটি সদ্ৰায়কে। স্বপন কুমার দাস এই জানাজানির কাজটি করেছেন ‘বেদে বাইজি ও হিজড়াদের কথা লিখে। স্বীকার করতে হবে লেখক প্রবন্ধগুলাে লিখেছেন গভীর অনুসন্ধিৎসা এবং পরিশ্রম করে। সার্থকও হয়েছে তার প্রচেষ্টা। জুদ্র পরিসরে হলেও পাঠকের সামনে তারই অর্ন্তগত এক দরজা খুলে দেয়ার প্রয়াস পেয়েছেন লেখক স্বপন কুমার দাস। আমরা তার কাছে এই ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস আরাে আশা করবাে। নিশ্চয়ই তিনি লিখে যাবেন।