''ভারতীয় দর্শন'' বইয়ের ভূমিকা : ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে সুলিখিত দেশী ও বিদেশী বই এর অভাব নেই। তথাপি সরল করে বর্তমান জ্ঞানের আলোকে এ শাস্ত্রের মূল কথাগুলোর আলোচনা ও সমালোচনা করার প্রয়োজন আজও আছে। তাই এই প্রয়াস। অভিজ্ঞতায় শিখেছি যে, সহজ করে বলাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। এটাও দেখেছি যে, দর্শনের কথাগুলোকে আমাদের পরিচয় পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত করে পরিবেশন করলে তবেই তা ছাত্র-ছাত্রীরা হৃদয়ঙ্গম করতে পারে। সর্বত্রই চেষ্টা করেছি যাতে বিষয়টি তাদের কাছে শুষ্ক ও ভীতিজনক না হয়, যাতে তারা বুঝতে পারে যে, দর্শনশাস্ত্রের আলোচনা বাস্তব জীবনের সাথে যুক্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পাঠ্যসূচি অনুসরণে অনার্স ও পাস কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য বই হিসেবে বিশেষভাবে রচিত ও সম্পাদিত। বইটি লেখার ব্যাপারে যারা আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন, কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁদের সবাইকে স্মরণ করছি। বিশেষভবে স্মরণ করছি আমার শিক্ষাগুরু ও পথ প্রদর্শক শ্রদ্ধেয় ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্ৰ দেবকে যিনি অনেক কষ্ট স্বীকার করে বইটির ‘প্রাথমিকী' লিখে দিয়েছেন। স্মরণ করছি শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু অধ্যাপক সাঈদ আব্দুল হাই সাহেবকে ও অধ্যক্ষ কে. আলী সাহেবকে যাঁরা তাঁদের মূল্যবান উপদেশ দিয়ে বইটি লেখার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছেন। স্মরণ করছি অধ্যাপক আব্দুল সালাম, অধ্যাপক লুৎফর রাহমান, অধ্যাপক ফজলুর রহামান, অধ্যাপিকা ফাতেমা ইসলাম, অধ্যাপক রফিক উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক নূরুল আলম রইসী, অধ্যাপক কবির চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম, ড. সালাম, ড. ওমর ফারুক এবং আরও অনেক বন্ধু অধ্যাপককে যাঁরা পান্ডুলিপি পরিশোধনে তাঁদের মূল্যবান উপদেশ দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন। বিশেষভাবে মনে করছি আমার স্নেহভাজন ছাত্র মুশতাক, মুক্তার ও তাদের ভাবীকে এবং খায়রুল, টিপু, নুরুর রসুলকে ও ছাত্রী অঞ্জলী এবং শিল্পীকে যাদের সর্বক্ষণ অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া বইটি লেখার ব্যাপারে নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন। সেজন্য তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ । এ গ্রন্থ প্রণয়নকালে বহু দেশী ও বিদেশী লেখকের গ্রন্থ হতে অকৃপণভাবে উপাদান সংগ্রহ করেছি, কৃতজ্ঞচিত্তে ঋণ স্বীকার করছি। আশা করি, আমার পূর্ব প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থের ন্যায় এ গ্রন্থও সহকর্মীদের আনুকূল্য লাভ করবে। এ বইয়ের উৎকর্ষ সাধনের জন্য তাঁদের মতামত ও সদুপদেশ সাদরে আমন্ত্রণ করছি। সব কাজেই করুণাময়ের সাহায্য কামনা করছি। বিনীত- প্রফেসর মোঃ শফিউল্লাহ মো : ফজলে বারী