সক্রেটিস। একটি নাম। একটি ধ্রুপদী ঝড়-যা সকল অসত্য, অন্যায় ও অসুন্দরকে এক নিমেষে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারে। গ্রিক সভ্যতা যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে অমন যুগান্তকারী সফলতা আনতে পেরেছিলো, তার সার্থক রূপকার মূলত তিনিই । তিনি ছিলেন বলেই প্লেটো-এরিস্টটলদের জন্ম হয়েছিলো-এ কথা তাঁর পাঁড় বিরোধীরাও নির্দ্বিধায় স্বীকার করবে। এই একজন মানুষই ইতিহাসে যুগপৎ জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত। সারাবিশ্বের তাবৎ শিক্ষিত মানুষের কাছে চিরপরিচিত এ মানুষটি । অথচ তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে বললে অনেকেই বিস্তারিত কিছু বলতে পারেন না। তাই তো তাঁর সম্পর্কে মনীষী বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন, ‘সক্রেটিস সম্বন্ধে আমরা কতোটুকু কী জানি, তাও এখনো আমরা জানি না।' রাসেলের কথায়ই প্রমাণিত হয় সক্রেটিস-ম্যাজিক । নিজে একবর্ণ না লিখে গেলেও তাঁর মৃত্যুর আড়াই হাজার বছর পরেও তিনি সুধী সমাজের কাছে আলোচিত এক চরিত্র। তাঁকে নিয়ে বিশ্বের প্রায় সকল ভাষায় আজ অব্দি প্রতি বছরই কোনো না কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়ে আসছে । এ ধারা আরও বহুদিন যে চলবে, তা এক প্রকার হলফ করেই বলা যায় । কবি-লেখক-সাহিত্যিক-সমালোচকদের কাছে তিনি যেন চিরনতুন এক চরিত্র। তিনি কখনও পুরনো হয়ে যান না । 'নতুন আয়নায় সক্রেটিস' গ্রন্থে মহামতি সক্রেটিসকে নতুনভাবে পাঠকের কাছে পরিচয় করানোর দৃপ্ত শপথে লেখকের এগিয়ে চলা। পাঠককে সক্রেটীয় রসে নতুন করে আপ্লুত করার এ প্রয়াসে সকলকে স্বাগতম ।