"প্রাচীন মিশরের নারী ফারাও" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: খ্রিষ্টপূর্ব ৩,০০০ অব্দ থেকে ৩০ অব্দ পর্যন্ত প্রাচীন ইজিপ্টের বিভিন্ন রাজবংশের ১৭০ জন ফারাও এই দীর্ঘ সময় ইজিপ্ট শাসন করেছেন। আর তারা ছিলেন তাদের প্রজাদের নিকট ঈশ্বর। ঐতিহাসিক ও প্রাচীন ইজিপ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে ফারাও মেনেস ছিলেন ইজিপ্টের প্রথম ফারাও আর শেষ ফারাও ছিলেন ৭ম ক্লিওপেট্রা যিনি মারা যান খ্রিষ্টপূর্ব ৩০ অব্দে আর তারপর ইজিপ্ট হয়ে যায় রােমের একটি প্রদেশ । প্রাচীন মিশরের ফারাও ও তাদের ঈশ্বর সবসময়ই ছিল রহস্যময় । ফারাওয়ের যে সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে তাতে নারীদের ফারাও হওয়ার কোনাে সুযোগ ছিল না। তারপরও মিশরের কয়েকজন রানী ফারাও হওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। রানী সােবেকনেফরু, রানী হাতসেপসুত, রানী তুসরেত ও রানী নিতােক্রিস যারা নিজেদেরকে যােগ্য শাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং ইতিহাসে তাদের নাম স্থায়ী করে রেখেছেন। এই গ্রন্থটি পাঠককে নিয়ে যাবে হাতসেপসুত-এর শাসনামল থেকে শুরু করে সর্বশেষ ফারাও ক্লিওপেট্রার শাসনামল পর্যন্ত। প্রাচীন মিশরের নারী ফারাও গ্রন্থটি পাঠ করে পাঠক জানতে পারবেন কীভাবে হাতসেপসুত ফারাও হয়েছিলেন কিংবা নেফারতিতির ফারাও ইতিহাস কেন ইজিপ্টের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হলাে কিংবা রহস্যময়ী নারী ক্লিওপেট্রা কেন এবং কীভাবে জুলিয়াস সিজার ও মার্ক এন্টনির সাথে ভালােবাসার সম্পর্ক গড়ে তুললেন কিংবা কেনই বা ক্লিওপেট্র তার বােন আর্সিনােকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলেন তার বিস্তারিত কাহিনি। এর পাশাপাশি সে আমালের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কেও পাঠকের একটি সম্যক ধারণা হবে। গ্রন্থটি পড়লে পাঠকের কেবল হাতসেপসুত, নেফারতিতি মেরনেইথ ও ক্লিওপেট্রার শাসনামল সম্পর্কে জানাই হবে না বরং তৎকালীন সভ্যতা সম্পর্কেও বিশেষভাবে জানা যাবে। আর এতে সবার ইজিপ্ট সম্পর্কে জানার আগ্রহ আরাে বাড়বে।