বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনের ডায়েরিটা লিখতে যাওয়া। জানি হয়তো কোনো ক্রমে বাকিও থাকতে পারে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা যে আমরা মৃত্যুঞ্জয়ী নই তবু বেঁচে থাকি বহু স্কুল আশা নিয়ে কোনো পূর্ণতা নেই। তবু স্বপ্ন বাঁধি দুচোখ জুড়ে। ভালোবাসার ঘর তৈরি করি শূন্যতার উপর। সত্যি পৃথিবীতে এই নাট্যশালা বুঝা বড়ই কঠিন। কিন্তু এটাই সত্যি যে স্বপ্নরাজ্য থেকে হারিয়ে যাবো অচিরেই। তবু যে স্বপ্ন ডানাই পাখা মেলে ওঠতে চাই সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে। হয়তো জীবনের ডায়েরিটা কোন সুখের ছন্দ ভঙ্গিতে পরিপূর্ণ করতে পারবে না। কেননা গরীবের শুরুটাই হচ্ছে গিয়ে দুঃখ কষ্টের মুহূর্ত থেকে। আর আমি তো সেই কাঙ্গাল যে পিতা মাতার সন্তান যারা আজও জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে একেবারেই ক্লান্ত কোনো দিন সুখের একটু ছায়া স্থলে বসতে পারেনি। হয়নি একটু ভালোবাসার ছোয়া। আর ভালোবাসা তাকে পেতে হলেও যে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। ভালোবাসা পেতে চায় কিন্তু ভালোবাসতে জানেনা ওরাই যারা শুধু পেতে চায়। ভালোবাসায় কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেই। যেখানে মিথ্যা লোকালয়, তাকে ভালোবাসা বলে না, অভিনয়। সেই খ্যাতে অভিনয় শেষ, ফিরে আসে ক্ষত-বিক্ষত আঘাত দিয়ে।
১৯৯৪ সালের ১০ জুলাই নেত্রকোনা দূর্গাপুর মামার বাড়ি আমার জন্ম।বড় ডিগ্রি স্নাতকোত্তর কোনোটাই আমার বড় গুণ নই।গুণ আমার কর্মপ্রতিফলন আর সৃষ্টিশীলতায়।শুধু উপাখ্যান ঘিরে আমি সূচনা দেখতে চেয়েছি। রাজার রাজ্য নিয়ে সবাই অনুসন্ধিৎসু।কিন্তু বেদনায় কাতর নিঃসঙ্গ অসহায়ের পেছনে কেউ ছুটতে চায়না।তাদের কষ্ট নিজ চোখে দেখেও বোঝার চেষ্টা করেনা। আমি বুঝতে বেরিয়েছি। তাই গল্প লেখি, গল্প পুষি। গল্পের জন্যে মহাসমুদ্রে নিজেকে নিক্ষেপ করি। জলতরঙ্গে ভাসতে ভাসতে কথা বলি নদীর সাথে। নদীর বুকে কত গল্প, কত কষ্ট বয়ে চলে নিরবধি। কষ্ট দেখে কষ্ট আমার বাড়ে। তাই নিজে বহুরূপে ব্যবহৃত হয়েছি। কখনো সুইপার হয়ে। কখনো মালীর বেশে। জংশনে জংশনে কুলির পথে পথে। কোনো অফিসিয়ালী লেবারের বেশে ঘাম ঝরিয়ে মান খুঁজি।কোথাও মান খুঁজে পাইনা। মান পেতে এখন দাম দিতে হয়।দামের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কটা খুবই ঘনিষ্ঠ। যাদের অর্থনৈতিক শক্তি রয়েছে তারাই সবচেয়ে দামি এবং মানি ব্যক্তি। আমি আজও সেই মূল্যধরে দাম দিয়েও মান পাইনি।