পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম মিসরীয় সভ্যতা। মিসরীয় সভ্যতাগুলোর একটি হলো পিরামিড। বলা যেতে পারে, এটি মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য শিল্প। ফারাওদের ধর্মীয় বিশ্বাসের যায়গা থেকে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হতো, যা মমি নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে মৃতদেহ কখনো জেগে ওঠে না বা প্রাণ ফিরে পায় না। কিন্ত মমি জেগে ওঠে আমাদের বিবেকের ভিতরে। লেখক সে কাজটিই করেছেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন পুরো আখ্যানে। যা প্রতিটি মানুষের ভেতর সুপ্তবীজ হয়ে আছে-হয়ে থাকা উচিত। এসব মানবিক উপাদান আমাদের জানিয়ে যায়, এই পারমাণবিক যুদ্ধের পৃথিবীতে মৃতেরা আর ফিরে আসে না। আসুক এটাও কারো কাম্য নয়। যে মমি তৈরীর সাথে জড়িয়ে আছে লাখ লাখ মানুষের বলিদানের ইতিহাস। যে পিরামিডের গায়ে লেগে আছে অসংখ্য মানুষের ঘামের দাগ। সেই পিরামিডের সামনে বিশ্বের সব মানুষ দৃষ্টি নিবন্ধ করে এক কাতারে দাঁড়িয়ে। এসব মমির দিকে তাকিয়ে আমরা কি পারি না শান্তির জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে? সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজ দেশগুলোর হৃদয়ে কি মমি জেগে ওঠে না? পাঠকের মনে এই প্রশ্নটিই যেন বারবার উঠে আসে ‘মমি জেগে ওঠে’ উপন্যাসটিতে। আর পিরামিডকে কেন্দ্র করে বিশ্বের আলোচিত মানুষদের চরিত্রায়ন করে লেখক সফলতার সাথে এক যায়গায় দাঁড় করিয়েছেন এবং অনন্য সুন্দর গল্প নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন যা আমাদের বোধকে নাড়া দিয়ে যায়।