"ছায়ারীরী" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কী হবে, যদি একটু একটু করে বদলে যায় আপনার বহু বছরের চিরচেনা মানুষটি? দিনের পর দিন ক্রমশ বদলে সে হয়ে উঠছে এমন কেউ যাকে আপনি চেনেন না একটুও! মানুষ নয়, প্রিয় মানুষটি বদলে যাচ্ছে এমন এক প্রাণিতে যা আদৌ নয় এই পৃথিবীর। আপনার প্রিয় মানুষটির স্থান ক্রমশ দখল করে নিচ্ছে অন্য ভুবনের এক পৈশাচিক অস্তিত্ব, যার জন্ম ভয় আর আতঙ্কের কুৎসিত এক গহবরে.. কিংবা কে জানে, হয়তাে সে মানুষই ছিল না কখনাে! কী হয়, যখন কোনাে প্রেত সত্ত্বা রূপ বদলে প্রবেশ করে। আপনার জীবনে, আপনার দৈনন্দিন প্রতিটি মুহূর্তে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায়, গভীর রাতে আপনাকে আলিঙ্গন করে বুকে মাথা রাখে। ঠিক মানুষ নয়, মানুষের মতােই কিছু একটা। হিম শীতল মৃত্যুর মতাে তার অস্তিত্ব, বাস্তব আর পরাবাস্তবতার মাঝামাঝি তার অস্তিত্ব! কী ঘটে, যখন মানবীয় কারাে বাইরে আপনি ভালােবেসে ফেলেন পৈশাচিক কোনাে অবয়বকে? রােজকার সাদামাটা জীবনের ফাঁক-ফোকরে লুকিয়ে থাকা ভয়াল এক কাহিনি নিয়ে এই উপন্যাস “ছায়ারীরী” । যে কাহিনি দাঁড় করিয়ে দেবে আপনাকে এমন এক সত্যের সামনে, যা আমরা দেখেও দেখতে চাই না অনেকেই। কিন্তু তাতে মিলিয়ে যায় না, বরং আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে প্রকৃতির সেই অস্বাভাবিক শক্তি। প্রবল, প্রচণ্ড আর ভয়াল সেই শক্তি—যা তছনছ করে দেয় তুচ্ছ মানব জীবন। সত্যিই কি আছে এমন পৈশাচিক শক্তির অস্তিত? সত্যিই কি আছে তারা, যাদেরকে সহজ ভাষায় বলা হয় “প্রেত”? সত্যিই কি প্রকৃতি রূপ বদলে জন্ম দেয় এমন সব অমীমাংসিত রহস্যের, যার সমাধান নেই তাঁর নিজের কাছেও? প্রকৃতির ঠিক তেমন এক অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আমাদের এবারের কাহিনি...
Rumana Bayshakhi অনেকে রসিকতা করে বলেন, বয়সকে অতিক্রম করেছেন তিনি- তাঁর লেখায়। তিনি রুমানা বৈশাখী। তার জন্ম মে মাসের ১২ তারিখে ঢাকায়। ঢাকায়ই বেড়ে ওঠা । পড়ালেখাও । স্নাতকোত্তর করেছেন রসায়ন বিজ্ঞানে, ইডেন কলেজ থেকে। লেখালেখির সাথে জড়িত দীর্ঘদিন। নেশার বশে শুরু করলেও এই সৃজনশীল পেশাটিকেই অবলম্বন করে বেঁচে আছেন, এই পেশাতেই ক্যারিয়ার গড়েছেন আর সেভাবেই বাঁচতে চান সারাটা জীবন । কাজ করেছেন মাসিক সাহিত্য পত্রিকা আলো ও ছায়া-র সহকারী সম্পাদক হিসেবে । নারী বিষয়ক পত্রিকা পারিতেও তিনি সহকারী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন প্রিয়.কম-এর এডিটর ইন চার্জ পদে, কাজ করছেন লাইফস্টাইল জার্নালিজম নিয়ে। একই সাথে পরিচালনা করছেন প্ৰিয় আনসারের মতো একটি পরামর্শ সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই লিখছেন সমান তালে, স্বাচ্ছন্দ্যে। খুব অল্প বয়সেই প্রকাশিত একক বইয়ের সংখ্যাটা বেশ ভারী। সিনেমা ও নাটকের বৈচিত্র্যময় জগতেও পা রেখেছেন আগেই। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে তাঁর লেখা একাধিক নাটক।লিখেছেন শর্ট ফিল্ম। তাঁর জীবনে একটিই মাত্র লক্ষ্য। লিখতে থাকা ও ভালো লেখার চেষ্টা করে যাওয়া।