সন্ধ্যা মিলিয়ে গেছে। ঢাকা শহর এই সময় এক অদ্ভুত নীরবতায় হারিয়ে যায়। চারদিকে কেমন যেন একটা কর্মবিরতি ভাব। আযানের সুরের সাথে এক ধরনের মায়া নামে। নামাজীরা নামাজ পড়ার জন্য দ্রুত পথ চলতে থাকে। আর বাকিদের মধ্যেও বাড়ি ফিরে যাবার একটা তাড়া। আবার কিছু কিছু মানুষের জন্য সন্ধ্যা নিয়ে আসে সারাদিনের ব্যস্ততার পর নতুন এক শুরুর। ঠিক এমনিভাবে নতুন করে শুরু হয় প্রতি সন্ধ্যায় মফিজ মিয়ার চায়ের স্টল। সন্ধ্যার পর থেকে রাত দশটা, কখনও বা রাত এগারোটা পর্যন্ত চলে মফিজ মিয়ার স্টলে সবুজদের আড্ডা। সারাদিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর মফিজ মিয়ার বেচাকেনা কম হলেও তার মধ্যে এনিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। সবুজ, অপু, তপুরা এই দোকানের প্রতিদিনের সন্ধ্যাকালীন খরিদ্দার। তারা দোকানের বিছানো দুই পাশের টুলের একটা দখল করে রাখলেও মফিজ মিয়া তা মেনে নেয় খুব আনন্দের সাথে। বরং তারা কোনোদিন দেরি করলে তার অপেক্ষা বাড়তে থাকে। সবুজ আর অপু বসে তার বিছানো টুলে। আর তপু বসে দোকনে ঢোকার জায়গাটায়, যেখানে পানের ট্রেটা থাকে ঠিক তার সাথে খালি জায়গাটায়। তাদের এই দীর্ঘ আড্ডার জন্য বাকি টুলে তিনচারজন লোক যা বসতে পারে তাই মফিজ মিয়ার চলমান খরিদ্দার।
ফয়সাল আহমেদ, পিতা মৃত সাইজুদ্দিন আহমেদ, মাতা ফরিদা খাতুন। জন্ম পুরনো ঢাকার মিডফোর্টে ১৯৮০ সালের ৫ এপ্রিল। পড়াশোনা মিল্লাত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শেখ বোরহানউদ্দিন পোষ্ট গ্রাজুয়েট কলেজ থেকে এইচএসসি ও স্নাতক শেষ করেন। পেশায় চাকুরিজীবি। দীর্ঘদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছোটগল্প লেখায় নিয়োজিত থাকলেও 'অজানা গন্তব্য' লেখকের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।