বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা মননশীল বলেই মানুষ সমাজকে বিশেষভাবে নিরীক্ষণ করে। সমাজ পরাধীনতার একটা শৃখল! সমাজ শাসন করে, ঘৃণা করে কিন্তু লালন করে না। অসহায় নিরন্ন মানুষের মুখে অন্ন জোগায়। বরং সমাজে প্রতারকরা অন্যের পকেট সাফাই করে। মাজার, টিয়া পাখি এবং জ্যোতিষী বিদ্যার মিথ্যা আবরণে। সরল মনের মানুষকে বঞ্চিত করে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষককে বঞ্চিত করে। মধ্যস্বত্বভােগীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে অনেকে গােপনে পাপ করে আলােতে। সাধু সেজে পাপীকে শাসন করে, ঘৃণা করে, আঘাত করে। ন্যায়-অন্যায়ের বিধান দেখিয়ে আল্লাহর সৃষ্টিকে রক্তাক্ত করে, অকারণে হানাহানিতে লিপ্ত হয়। মেকী রাজনীতির খেলায় ছাত্র-ছাত্রী তথা যুবসমাজের জীবন নষ্ট হয়! সমাজের এমন নির্মম সত্যকে গ্রামে জন্ম নেয়া সম্রাট চরিত্রের দৃষ্টিতে, শিল্পী নামক পতিতার জীবন-যন্ত্রণার মাধ্যমে। উপন্যাসটিতে তুলে ধরা হয়েছে সমাজ দীর্ঘদিনের, মানবের জীবন ক্ষণিকের! তাই সমাজের বীক্ষণটা অসম্পূর্ণই থেকে গেলাে! এক-জীবনে সমাজকে এবং মানুষের জটিল মনােবৃত্তিকে অনুধাবন করা যায় না বলেই উপন্যাসটির নাম। ‘অসম্পূর্ণ বীক্ষণ' এর কাহিনি কাল্পনিক; বাস্তব কোন স্থান-কাল-ব্যক্তির নাম। ব্যবহার করা হয় নি!!