নীরবে হেঁটে চলেছেন আর্থার বার্ডন ও ডা. পোর্হেত। বুলেভার্ড সেন্ট মাইকেলের একটি রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে পায়চারি করছেন লুক্সেমবার্গের বাগিচায়। হাত দুটি পিছনে বেঁধে সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে হাঁটছেন ডা. পোর্হেত। প্যারিসের অন্যতম আকর্ষণীয় বাগিচাটিকে তিনি দেখছিলেন ঐ সমস্ত চিত্রশিল্পীদের চোখ দিয়ে, যারা এটিকে মাধ্যম করে তাঁদের সৌন্দর্যরসবোধকে প্রকাশ করবার প্রয়াস পেয়েছেন। চারদিকে ঘাসের উপর ছড়িয়ে আছে গাছের ঝরা পাতা। পারিপার্শ্বিক শিল্প-কারুকার্যের মাঝে ঝরা পাতাগুলির ৰয়িষ্ণু বিস্তার দৃশ্যটির মাঝে নিরন্তর বহমান বিশ্ব-প্রকৃতির চিরায়ত বাস্তবতার যে প্রতীকী রূপটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারতো, ঠিক তেমনটি যেন নয়। প্রতিটি বৃক্ষই নানান জাতের পরিপাটি ঝোপ-ঝাড় দিয়ে বেষ্টিত। ঝোঁপ-ঝাড়গুলিকে ঘিরে আবার রয়েছে বিচিত্র সব কাটছাঁট করা ফুলের কেয়ারি। বৃক্ষগুলির বেড়ে ওঠার মাঝে আত্মবিচ্ছিন্নতার কোনো লক্ষণ নেই, বাগিচার সার্বিক সাজ-সজ্জায় তাদের আপন ভূমিকা সম্পর্কে যেন তারা সদাই সচেতন। এখন শরৎকাল। গাছগুলির কতকটি ইতোমধ্যেই লোহিত বর্ণ ধারণ করেছে, কতকটি এখনো বাদামী, কিছু ইতোমধ্যে ন্যাড়া। সরেস আর শুষ্কতায় মিলিয়ে বাগানটি যেন হাল্কা-পাতলা এক মহিলা, ঠিক যুবতী যেন সে আর