সংক্ষিপ্ত প্লটঃ ড. আইভান মেন্ডেস দাবী করছেন তার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এমন এক অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়া আবিস্কার করেছে, যার প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক আয়ু প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি মানবশরীরে এই প্রক্রিয়া প্রয়োগের অনুমতি দেবে? এদিকে একদল চাইনিজ ফ্যানাটিক উঠে পড়ে লেগেছে তাদের বিরুদ্ধে। হামলা করা হচ্ছে গবেষণাকেন্দ্রে, কিডন্যাপ করা হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ফিরে যেতে হবে খ্রিষ্টের জন্মের ২০০ বছর পূর্বের প্রাচীন চিনে। কিন ডাইনেস্টির প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট কিন সি হুয়াং মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন। যাদুকর আংকি সেং তাকে এলিক্সার অফ লাইফের সন্ধান দিল যা পান করলে মানুষ হয় অমর। সম্রাট তার বিশ্বাসভাজন রসায়নবিদ জু ফু’র নেতৃত্বে প্রায় তিন হাজার নর-নারীর একটি দলকে পাঠালেন সেই এলিক্সারের সন্ধানে। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেল, তারা আর ফিরে এল না। কেউ জানে না তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছিল। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জড়িয়ে আছে একটি মেয়ের অস্তিত্বের সাথে। মেয়েটির নাম- স্কারলেট, খুব সাদাসিধে এক তরুণী যে নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছে একজন অভিশপ্ত মানুষকে।
Nazim Ud Daula-er জন্ম ১৯৯০ সালের ৪ নভেম্বর নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জে। পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলায় হলেও বেড়ে উঠেছেন ঢাকার আলো বাতাসের মাঝে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি “অ্যানালাইজেন”-এ কর্মরত আছেন। লেখালেখির চর্চা অনেক দিনের। দীর্ঘসময় ধরে লিখছেন ব্লগ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। ২০১২ সালে প্রথম গল্প “কবি” প্রকাশিত হয় কালান্তর সাহিত্য সাময়িকীতে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-তে প্রকাশিত হয় তার প্রথম থ্রিলার উপন্যাস “ইনকারনেশন”। একই বছর আগস্টে প্রকাশিত হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার “ব্লাডস্টোন” তাকে এনে দেয় বিপুল পাঠকপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত ৬টি থ্রিলার উপন্যাস ও ১টি গল্পগ্রন্থ লিখেছেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী চরিত্র “মাসুদরানা” নিয়ে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিনি। এছাড়াও “শান”, “অপারেশন সুন্দরবন” সহ বেশ কিছু বড় বাজেটের বাংলা চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। অবসর সময় কাটে বইপড়ে, মুভি দেখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে। সদালাপী, হাসি খুশি আর মিশুক স্বভাবের এই মানুষটি স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশের, যেখানে প্রত্যেকটি এক হয়ে মানুষ দেশ গড়ার কাজে মন দেবে।