দুইদিন পর বিমান চট্রগ্রামে এসে অবতরণ করেছে। বিমানে আছে ড. ফ্রন্ট, কয়েকজন তুখােড় সেনা ও বিমান কর্মকর্তা। অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত অনেকগুলাে সৈনিক। ওরা সারি বেঁধে বিমান থেকে একের পর এক নেমে আসলাে। এয়ারপাের্ট কর্তৃপক্ষ হা করে তাকিয়ে রইল। মুখ খােলার সাহস পেল না। আমেরিকান অ্যাম্বাসি থেকে সরকারকে একটা inform করা হয়েছে। এই পর্যন্তই সরকার মুখে কুলুপ এটে বসে আছে। বিমানে করে নিয়ে আসা হেলিকপ্টারে করে তারা পার্বত্যচট্রগ্রামে উড়ে গেল। কমপ্লেক্সের খুব কাছাকাছি এসে হেলিকাপ্টারটা অবতরণ করল আমেরিকান সেনা অফিসাররা খুবই দক্ষ। অত্যাধুনিক ট্রেনিং প্রাপ্ত। তাদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা দুই জন সেনা অফিসার অত্যাধুনিক স্টেনগান নিয়ে কমপ্লেক্সের দিকে অগ্রসর হল। তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারলা না সামনেই মরণ ফাদ বসে আছে। নাহিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে হাইভােল্টেজের অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি করে রেখেছে। সেই দেওয়ালে অফিসার দুটো আটকা পড়ে কিছুক্ষণ ছটফট করে একেবারে কাবাব হয়ে গেল। চোখের নিমিষে ঘটনাটা ঘটে গেল। এদের রক্ষা করার সামান্য সুযােগটুকু পর্যন্ত বাকিরা পেল না। তাদের হা করে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার রইল না। কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর শলা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিল কৌশল পরিবর্তন করবে। স্থলপথে আর এগুবে না। আকাশ পথে আক্রমণ করবে। বােম্বিং করে কমপ্লেক্সটিকে ধুলির সাথে মিশিয়ে দিবে। কিন্তু আকাশ পথে আক্রমণের সরঞ্জামাদি তারা নিয়ে আসেনি। এখন কী হবে?