বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ আলােচ্য গ্রন্থটি এক মাস বা এক বছরের পরিশ্রমের ফল নয় বরং দীর্ঘ বিশ বছরের গবেষণা ও অভিজ্ঞতার ফলশ্রুতি। আল্লাহ্ আমাকে এ পর্যন্ত বিশটিরও বেশি গ্রন্থ প্রণয়নের তাওফীক দান করেছেন। দু'একটি বইয়ের বিশ লাখেরও অধিক কপি শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় ও মূল্যবান এবং অত্যন্ত জ্ঞানসমৃদ্ধ ও উপকারী গ্রন্থ এটিই। এর বাক্যগুলাে এবং প্রতিটি শব্দে, শব্দের পরতে পরতে গেঁথে রয়েছে আমার অন্তর, আমার অন্তর-ধ্বনি। স্মৃতির নির্যাসে তৈরি এর একেকটি বাক্য, বাক্যমালা। আমি হৃদয়ের গভীর থেকে এর প্রতিটি শব্দ লিখেছি। এর বাক্যগুলাে হৃদয় থেকে হৃদয়ে রাখতে চেয়েছি। পাঠক হৃদয়ে যেন এর মর্ম গভীরভাবে রেখাপাত করে আর সে চেষ্টাই আমি করেছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত হব- যদি কোন পাঠক-পাঠিকা এ গ্রন্থে বর্ণিত বিষয়গুলাের অনুশীলন। করেন, এর শিক্ষা নিজের জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা বিকশিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা সাধনা করেন। আমার বিশ্বাস, তখন সত্যিকার অর্থেই তিনি জীবনকে উপভােগ করতে পারবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। পরিশেষে কোন পাঠক যদি বইটি পড়ার পর তার অনুভব-অনুভূতি জানিয়ে আমাকে ই-মেইল অথবা এসএমএস করেন তাহলে আমি আরাে আনন্দিত হব, আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হব এবং দূরে থেকেও তার জন্য। দোয়া করব। আর একটি কথা বইটি পড়ে শেষ করতেই হবে এমন নয়, বরং এর থেকে উপকৃত হওয়াই যেন লক্ষ্য হয়। সবশেষে মহান আল্লাহ্র কাছে আবেদন তিনি যেন আমাকে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এ লেখাগুলাে থেকে উপকৃত হওয়ার তওফীক দান করেন এবং একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির জন্যই এ মহতী প্রচেষ্টাকে কবুল করেন। আমীন।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।