"চীনের শ্রেষ্ঠ গল্প" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: চীনা সাহিত্যের সাথে আমাদের তেমন যােগাযােগ নেই। হাতে গােণা কয়েকজন লেখক, বিশেষ করে লু স্যুন, দুজন নােবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক জাও হিঞ্জিয়ান এবং মাে ইয়ান, ছাড়া প্রায় সবাই আমাদের কাছে অপরিচিত। কিন্তু চীনা সাহিত্যে রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য, গৌরবময় ইতিহাস এবং অনবদ্য ভাষা। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে চীনা সাহিত্যের গোড়াপত্তন হয়েছে এবং উত্তরণের দূর্গম পথ পেরিয়ে আজ বিশ্ব দরবারে এক বিশেষ আসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণেই কি আমাদের চীনা সাহিত্যিকের লেখা গল্প পড়তে হবে, নাকি অন্য কোনাে কারণে, যেমন আমেরিকার দেড়শ’ বছরের ইতিহাস। টপকে সম্প্রতি চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের স্থান দখল করে নিয়েছে, কিংবা ফরাসি ঔপন্যাসিক আঁদে মালরাের ভাষায় ‘মানব সভ্যতার অন্য মেরুটি হচ্ছে চীন। নিঃসন্দেহে এর জবাব পাঠক নিজেরাই খুঁজে নিতে পারবেন চীনের শ্রেষ্ঠ গল্প সংকলনটিতে। সংকলিত গল্পগুলাের প্রকাশনার সময়কাল গত শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে শুরু করে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দীর্ঘ সময়ের চীনের রাজনীতি এবং আর্থ-সামাজিক পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়গুলাে বারবার উঠে এসেছে এসব গল্পে। এছাড়া এই সংকলনে চীনা কথাসাহিত্যের, বিশেষ করে ছােটগল্পের, বিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি, চীনের ছােটগল্প সম্পর্কে সংকলনের গল্পগুলাে বিদগ্ধ এবং উৎসাহী পাঠকদের মনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
ফজল হাসান সাহিত্যিক ছদ্মনাম। পােষাকী পরিচয় ড. আফজল হােসেন। মৌলিক ছােটগল্প, অনুবাদসাহিত্য এবং ছড়া রচনায় তিনি ইতােমধ্যে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিয়মিত সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যায় এবং সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তার মৌলিক এবং অনুবাদ গল্প । এ পর্যন্ত তিনটি মৌলিক ছােটগল্প এবং পাচটি অনুবাদ গল্পের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলামাটি অনলাইন ম্যাগাজিনে অস্ট্রেলিয়ার চিঠি শিরােনামে নিয়মিত কলাম লিখছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পেয়েছেন প্রিয় অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘প্রিয় লেখক পুরস্কার এবং ২০১০ সালে। ‘বাসভূমি’র পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেয়েছেন বাসভূমি পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার পর ফরেস্ট্রিতে। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সপরিবারে বসবাস করছেন ক্যানবেরায়।