বলা হয়, ফিলিস্তিনি সাহিত্য সামগ্রিকভাবে নির্বাসিত একটি জাতির গল্প। তাই ফিলিস্তিনি সাহিত্যে, বিশেষ করে ছােটোগল্পে অভিবাসন, নিবার্সন, বিচ্ছিন্নতা, স্বদেশের জন্য আকাঙ্ক্ষা, অন্যায়, নিপীড়ন ইত্যাদি বিষয়গুলাে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। অনেকের মতে, ফিলিস্তিনি সাহিত্য আধুনিক সাহিত্য-বিশ্বের অন্যতম মহান সম্পদ। ফিলিস্তিনের আধুনিক কথাসাহিত্যের ভান্ডার থেকে বাছাই করা পনেরােজন লেখক ও লেখিকার মােট ষােলােটি গল্প সন্নিবেশিত করা হয়েছে আধুনিক ফিলিস্তিনি ছােটোগল্প সংকলনে। তাঁদের প্রায় সকলের বয়সই অর্ধ শতকের বেশি। অর্থাৎ, যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতায় পূর্ণ এই সব গল্প । ষােলােটি গল্পের মধ্যে তেরােটি পূর্ণাঙ্গ ছােটোগল্প এবং বাকি তিনটি তিনজন লেখক ও লেখিকার বিখ্যাত উপন্যাসের চুম্বক অংশ। এছাড়া সংকলনের ভূমিকায় ফিলিস্তিনি সাহিত্য, বিশেষ করে আধুনিক ফিলিস্তিনি ছােটোগল্পের উৎস ও উত্তরণ এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের আধুনিককালের স্বনামধন্য লেখক এবং লেখিকাদের ছােটোগল্পের সঙ্গে বাংলাভাষী অনুসন্ধিৎসু পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকাশিত হলাে আধুনিক ফিলিস্তিনি ছােটোগল্প।
ফজল হাসান সাহিত্যিক ছদ্মনাম। পােষাকী পরিচয় ড. আফজল হােসেন। মৌলিক ছােটগল্প, অনুবাদসাহিত্য এবং ছড়া রচনায় তিনি ইতােমধ্যে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিয়মিত সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যায় এবং সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তার মৌলিক এবং অনুবাদ গল্প । এ পর্যন্ত তিনটি মৌলিক ছােটগল্প এবং পাচটি অনুবাদ গল্পের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলামাটি অনলাইন ম্যাগাজিনে অস্ট্রেলিয়ার চিঠি শিরােনামে নিয়মিত কলাম লিখছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পেয়েছেন প্রিয় অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘প্রিয় লেখক পুরস্কার এবং ২০১০ সালে। ‘বাসভূমি’র পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেয়েছেন বাসভূমি পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার পর ফরেস্ট্রিতে। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সপরিবারে বসবাস করছেন ক্যানবেরায়।