“স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ১ম খণ্ড" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলাে মুক্তিযুদ্ধ এবং সে অধ্যায়টি জাতির যেসব শ্রেষ্ঠ সন্তান রচনা করেন তারাই মুক্তিযােদ্ধা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বােনের ইজ্জতের বিনিময়ে। নয় মাসে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা, জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য যুদ্ধকালীন এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযােদ্ধাদের বিভিন্ন ধরনের সম্মাননা প্রদান। করে। সেগুলাে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত ছিল । যেমন: বীরত্বসূচক খেতাব, প্রধান সেনাপতির প্রশংসাপত্র, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক পদক এবং আহতসূচক ফিতা এর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল বীরত্বসূচক খেতাব। এই খেতাব হলাে (গুরুত্বের ক্রমানুসারে) বীরশ্রেষ্ঠ, বীর-উত্তম, বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক । মুক্তিযুদ্ধে যারা চরম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তাদের অবদানের জন্য এসব খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই খেতাবপ্রাপ্ত যােদ্ধাদের নাম ঘােষণা করা হয় । ৬৭৬ জন বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধার মধ্যে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জন বীর-উত্তম, ১৭৫ জন বীরবিক্রম এবং ৪২৬ জন বীরপ্রতীক । স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযােদ্ধাদের নিয়ে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হচ্ছে বইটি। প্রথম খণ্ডে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ, বীর-উত্তম ও বীরবিক্রম এবং দ্বিতীয় খণ্ডে, বীরপ্রতীক মুক্তিযােদ্ধাদের বীরত্বগাথা।