বর্তমান বিশ্বে শেখ হাসিনা এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি কেবল বাংলাদেশের তৃতীয় দফা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বেই নিয়ােজিত নন, তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি টানা ৩৩ বছর ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কর্তব্য সম্পাদিত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সােনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কর্মধারা বাঙালি জাতির ইতিহাসে গৌরবােজ্জ্বল নতুন অধ্যায় হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার রক্তে রঞ্জিত ইতিহাসের পথ ধরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। গত ৩৩ বছরে তার জীবননাশের জন্য কমপক্ষে ১৯ বার হামলা হয়েছে। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হয়েছিলেন। গৃহে অন্তরীণ কারানির্যাতন ভােগ, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে চলেছেন। কোনাে হামলা-হুমকি ও বাধা তাকে লক্ষচ্যুত করতে পারেনি। অকুতােভয় সাহসী জননন্দিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই এদেশ বিশ্বপরিসরে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শাসন ক্ষমতায় বিশেষত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংসদ বা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অনেক নারী রাজনীতিক এসেছেন কিন্তু তারা কেউই কোনাে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেননি বা ভিন্ন কোনাে রাজনৈতিক দর্শন দাড় করাতে সক্ষম হননি। জাতীয় নারী নেতৃত্ব বলতে জোহরা তাজউদ্দীন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম রওশন এরশাদ প্রমুখের নাম বারবার উচ্চারিত হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীত্ব না থাকলেও শেখ হাসিনা সাহসী রাজনীতিক হিসেবেই জনগণের কাছে নমস্য। কারণ তিনি এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধর যােগ্য তনয়া হয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করছেন; বিরােধী দলীয় নেত্রী হয়ে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন; আবার কখনও বা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মানুষের ভাত ও ভােটের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছেন। তাঁর বহুবর্ণিল জীবনের কয়েকটি প্রধান। অর্জনকে এ গ্রন্থে আলােচনা করা হয়েছে।
জন্ম : ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ খ্রিষ্টান পরিবারে। জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব। বসুর কাব্যচিন্তা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯৯৯ সালে এমফিল এবং ‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছােটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ’ রচনার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি উপাধি লাভ । ২০০০ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনারত। শালােম ফাউন্ডেশন’ (বিশ্বের নির্যাতিত খ্রিষ্টানদের পক্ষে যারা অ্যাডভােকেসি করে) নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং খ্রিষ্টান এনজিও ‘সিসিডিবি’র কমিশন সদস্য। প্রকাশিত গ্রন্থ : শওকত আলী ও সেলিনা হােসেনের উপন্যাস : প্রসঙ্গ রাজনীতি’ ; বাংলা কথা-সমালােচনা ও অন্যান্য প্রবন্ধ ; তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছােটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ।