ফ্ল্যাপে লিখা কথা একা্ত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মহানায়ক কাদের সিদ্দিকী বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসে দুর্নিবার দ্রোহের প্রতীক এক ঐতিহ্যপুরুষ। দেশ, জাতি, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষায় তিনি এক অনশ্বর বিপ্লবের চেতনা। সমাজ ও জীবন বদলের লড়াইয়ে তিনি এক পুরোগামী অভিঘাত- অন্তহীন সংগ্রামের এক দৃপ্ত শপথ। তিনি বঙ্গবীর, তিনি বীর উত্তম। তাঁর বীর্যবত্তা আজ কিংবদন্তির মহিমায় ভাস্কর। কাদের সিদ্দিকী বিশ্বনন্দিত মহান বীর। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জন্মযোদ্ধা, জনযোদ্ধা। জন্মের পর থেকে তাঁর যুদ্ধ চলেছে সকল বিপন্নতা ও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। তারপর শুরু হয়েছে তাঁর জীবনব্যাপী অনিঃশেষ মুক্তিযুদ্ধ। এ যুদ্ধ দেশের স্বাধীনতা, জাতির মুক্তি ও জনগণের বিপ্লবের জন্য। এ যুদ্ধ চলছে, চলবে। এই মুক্তির যুদ্ধকে তীব্র ও শাণিত করেছে একাত্তরের সামরিক বিজয়। আজ তাই চলছে সামাজিক মুক্তি, সংস্কারমুক্তি, অর্থনৈতিক মুক্তি, সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াই। আবার তাই একাত্তরের সেই মহানায়কের এক গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রুখে দাঁড়াতে হয়েছে বৈরি সময়ের বিরুদ্ধে। তাঁর হাতিয়ার আবারও গর্জে উঠেছে রাজনৈতিক মুক্তির যুদ্ধে। শুরু হয়েছে শুভতার জন্য নতুন রণাঙ্গরেন নতুন লড়াই ।
(জন্ম: ১৯৪৭) ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঘা কাদের নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক, যিনি ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য ব্যতিরেকেই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঢাকা আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তাঁকে বঙ্গবীর নামেও ডাকা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বাহিনী কাদেরিয়া বাহিনী তাঁর নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।