"সীরাতের ছায়াতলে" বইয়ের কথা: সন্দেহ নেই, পৃথিবীর শুরু থেকে অদ্যাবধি যতাে মানুষ আগমন করেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত ধুলির মর্তে আরাে যতাে মানুষের আগমন ঘটবে; তাদের মধ্যে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব হচ্ছেন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । কেমন ছিলেন তিনি? কীভাবে নিরুপিত হয়েছিলাে তাঁর বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্ব; সে বিষয়গুলােকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে অসংখ্য সীরাতগ্রন্থ। এর ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন জীবন্ত ভাষায় সংকলিত হয়েছে কত শত ইতিহাসগ্রন্থ। নিজস্ব বিষয়বস্তুর স্বকীয়তা ও আবেদনের ব্যাপকতার বিচারে সবগুলাে গ্রন্থই আপন মহিমায় ভাস্বর। প্রখ্যাত আরবলেখক আবদুত তাওয়াফ ইউসুফ রচিত এ অসামান্য গ্রন্থটিও সেই ধারাবাহিকতার একটি অসামান্য সংযােজন। তবে সেটি গতানুগতিক ইতিহাস ও সীরাত বিষয়ক প্রচলিত গ্রন্থাবলির রীতিতে সংকলিত হয়নি। সীরাতকে ইতিহাসের খােরাক না বানিয়ে জীবনকে যদি সীরাতের খােরাক বানানাে হয়; নিরেট জ্ঞানার্জনের মানসিকতা ত্যাগ করে নিজেকে যদি রাসূলচরিতের কাঠামাের আদলে গড়ে তুলতে হয়- তাহলে তার রূপরেখা ও পাথেয় কী হবে; একজন সত্যানুসন্ধানীর দৃষ্টিতে তা জানার সেই প্রয়াসটুকু লেখক বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ব্যয় করেছেন। আশা করি, নতুন প্রজন্মের সুস্থ বিকাশের ক্ষেত্রে গ্রন্থটি হবে আলাের বাতিঘর ।
"সীরাতের ছায়াতলে" বইয়ের সূচীপত্র: ১. তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠমানব.........১১ ২. তিনি আসছেন.........১৯ ৩. সেদিন হেসে ওঠেছিলাে সৌভাগ্যের পরাগ.........২৫ ৪. ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ যাত্রা.........৩৩ ৫. কল্যাণের পথে নিভৃত যাত্রা.........৪১ ৬. আমি আজ কাঠ কুড়াবাে.........৪৯ ৭. আমি বরং ভুখাই থাকবাে.........৫৯ ৮. স্নেহপ্রবণ পিতা.........৬৭ ৯, হৃদয়ছােয়া হাসি.........৭৫ ১০. আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন.........৮৫ ১১. শিশুদের প্রতি অগাধ ভালােবাসা.........৯৩ ১২. দয়া ও মহানুভবতার নিসীম সাগর.........৯৯ ১৩. ভেঙ্গে পড়লাে বাতিলের ত্রিমূর্তি.........১০৭
আবদুল্লাহ আল ফারুকঃ লেখক, অনুবাদক, মুহাদ্দিস, সম্পাদক। পিতা : মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন সাইফী। মাতা : মুসাম্মাৎ রেদওয়ানুল জান্নাত জন্ম : ২২ নভেম্বর ১৯৮৩ ঈ.। খিলগাঁও, ঢাকা। শিক্ষা : দাওরায়ে হাদিস, আরবি সাহিত্য ও ইফতা. দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত। পেশা : লেখালেখি, শিক্ষকতা। লেখালেখি : লেখেন কবিতা, অনুবাদ ও কলাম। বই, দেয়ালিকা ও সাময়িকী সম্পাদনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মুহাদ্দিস হিসেবে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা ও দারুল উলুম রামপুরায় কর্মরত ছিলেন। ছাত্রজীবনেই লেখালেখির সূচনা। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার স্মারকে। বিভিন্ন মাসিক পত্রিকা ও স্মরণিকায় প্রবন্ধ, কবিতা ও অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আরবি ও উরদু থেকে অনুবাদ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করেন। তার অনূদিত শিশুতােষ বইগুলােও বেশ জনপ্রিয়। সাইয়্যেদ মানাযির আহসান গিলানী, শায়খ হিফযুর রহমান সিওহারভী, মাওলানা ইদরিস কান্ধলভী, মুহাদ্দিস আবদুর রশীদ নু'মানী, শাইখুল হাদীস যাকারিয়া কান্ধলভী, সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী, মুফতী তাকী উসমানী, শায়খ যুলফিকার আহমদ নকশবন্দীসহ বরেণ্যদের বেশ কিছু বইয়ের সার্থক অনুবাদ করেছেন। আরবি থেকে অনূদিত বইয়ের সম্ভারও বেশ ঋদ্ধ। আবদুত তাওয়াব। ইউসুফ, সামাহ কামেল, সামীর হালবী, আহমদ তাম্মাম, সালামা মুহাম্মদসহ আরববিশ্বের বেশ ক’জন খ্যাতিমান লেখকের বইও অনুবাদ করেছেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ইতােমধ্যে ৪৪ পেরিয়েছে। আকাবিরের জীবন ও কর্মের ওপর কয়েকটি জীবনী ও স্মারকগ্রন্থ অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন।