প্রেম তথ্য : আফলাতুন বলেছেন : চিন্তাবিহীন বেকার মনের একটা ক্রিয়ার নাম ’প্রেম “ অ্যারিস্টটল বলেছেন : প্রেমাস্পদের দোষ-ক্রটি অনুভব করার ক্ষমতা বিনষ্ট হওয়ার নাম ‘প্রেম । জনৈক দার্শনিক বলেছেন : আমি প্রেমের চেয়ে বেশি সত্যকে মিথ্যার অনুরূপ এবং এর মিথ্যাকে সত্যের বেশি অনরূপ দেখিনি এক বেদুঈনের কথায় : প্রেম যদি এক ধরনের পাগলামি না-ই হয়, তাহলে অবশ্যই এটা জাদুর অতি মূল্যবান বস্তু । প্রেমের পর্যায়ক্রম : . প্রথম কোনো ব্যক্তির কাউকে ভালো লাগে । . তারপর তার সান্নিধ্য পাওয়ার ইচ্ছা জাগে । . তারপর বন্ধুত্ব হয়ে থাকে । . তারপর বন্ধুত্ব মজবুত হয়ে সৃষ্টি হয় প্রীতি । . তারপর আসে ‘হাওয়া’-দুর্বার ভালোবাসা । . তারপর তৈরি হয় প্রেম । . তারপর তাইম-প্রেমাস্পদের আয়ত্তে চলে যায় প্রেমিকের মালিকানা যখন তার অন্তর প্রেমাস্পদ ছাড়া আর কিছুই থাকে না । . তারপর তা বৃ্দ্বি পেতে প্রেমিক পৌঁছে যায় বোধবু্দ্বির সীমানার বাইরে । প্রেম ও ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য : ভালোবাসা সর্বজনীন কিন্তু প্রেম একমাত্রিক । কেননা ব্যক্তি তার পিতা-পুত্রকেও ভালোবাসে ; কিন্তু এক্ষেত্রে সে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া না,যেমনটা প্রেমিক করে । যেমন এক প্রেমিক তার প্রেমিককে দেখার পর কাঁপতে কাঁপতে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিল । এক হাকীম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হলো,এর কী হয়েছে? তিনি বললেন,নিজের প্রেমাষ্পদকে দেখামাত্রই ওর হৃদ্স্পন্দন বেড়ে গেছে এবং হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়ার কারণে ওর শরীরেও তার প্রভাব পড়েছে । b"রিয়েল লাভ" বইটির সূচিপত্র:br/b ১. প্রেম-ভালোবাসা কাকে বলেbr ২. প্রেম-ভালোবাসার কারণ ও উপকরণbr ৩. অবৈধ প্রেমের ক্ষয়-ক্ষতিbr ৪. প্রেমের পর পাপ থেকে বাঁচার পুরষ্কারbr ৫. প্রেমের বিপদ্দশা : এগারোটি ঘটনাbr ৬. প্রেমের খাতিরে জীবনবাজি রাখার ঘটনাবলিbr ৭. লায়লী-মজনুর প্রেমকাহিনীbr ৮. প্রেমের কারণে বিধর্মী হওয়ার ঘটনাবলিbr ৯. প্রেমের কারণে নরহত্যাকারীদের ঘটনাবলিbr ১০. প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুনের ঘটনাবলিbr ১১. প্রেমের কারণে নিহত প্রেমিকদের ঘটনাবলিbr ১২. প্রেম-বিরহ থেকে উত্তরণ ও মরণের ঘটনাবলিbr ১৩. আত্মঘাতী প্রেমিকদের ঘটনাবলি
আল্লামা ইবনু কাইয়্যিমিল জাওযীয়া (রহঃ) ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, ফকিহ, তাফসীরবিদ, হাদীসজ্ঞ এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের পণ্ডিত। তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু আব্দুল্লাহ্ শামসুদ্দ্বীন মুহাম্মাদ বিন আবু বকর বিন আইয়্যুব আদ দিমাশকী। তিনি ৬৯১ হিজরী সালে দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর পিতা দীর্ঘ দিন দামেস্কের আল জাওযীয়া মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বলেই তাঁর পিতা আবু বকরকে قيم الجوزية কাইয়্যিমুল জাওযীয়াহ অর্থাৎ মাদরাসাতুল জাওযীয়ার তত্ত্বাবধায়ক বলা হয়। পরবর্তীতে তাঁর বংশের লোকেরা এই উপাধীতেই প্রসিদ্ধি লাভ করে। ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়া (রহঃ)-এর স্নেহধন্য শিষ্য ছিলেন এবং শাইখের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি তাঁর সাথেই ছিলেন। এমনকি জিহাদের ময়দান থেকে শুরু করে জেলখানাতেও তিনি তাঁর থেকে আলাদা হননি। তিনি ইসলামী আকীদাহ, তাওহীদ, সুন্নাহ ও বিদআত-বিরোধী বিভিন্ন বিষয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তার মধ্যে তাওহীদ ও সুন্নাহের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, বিদআতের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং ইবাদত-বন্দেগীতে নিষ্ঠা ছিল অন্যতম। ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
"যাদুল মা‘আদ ফী হাদ্য়ী খাইরিল ইবাদ"
"মাদারিজুস সালিকীন"
"শিফাউল আলীল"
"তিবেব নববী" (চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁর অনন্য অবদান)
তাঁর উস্তাদ বৃন্দ -
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) যে সমস্ত আলেম-উলামার কাছ থেকে তালীম ও তারবীয়াত হাসিল করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়াহ (রহঃ)।
আহমাদ বিন আব্দুদ্ দায়িম আল-মাকদেসী (রহঃ)।
তাঁর পিতা কাইয়্যিমুল জাওযীয়াহ (রহঃ)।
আহমাদ বিন আব্দুর রহমান আন্ নাবলেসী (রহঃ)।
তাঁর ছাত্রসমূহ -
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর হাতে যে সমস্ত মনীষী জ্ঞান আহরণে ধন্য হয়েছিলেন, তাদের তালিকা অতি বিশাল। তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
বুরহান উদ্দ্বীন ইবরাহীম বিন ইবনুল কাইয়্যিম।
ইমাম ইবনে রজব (রহঃ)।
হাফিয ইমাম ইবনে কাছীর (রহঃ)।
তিনি একজন নিরলস সাধক, যিনি দীর্ঘ সময় ইবাদত করতেন, বিশেষ করে তাহাজ্জুদ ও কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ইলমী ও আধ্যাত্মিক খেদমত মুসলিম উম্মাহর জন্য অমূল্য দান হয়ে রয়েছে। ইবনুল কাইয়্যিম ৭৫১ হিজরী সনে মারা যান এবং দামেস্কের বাবে সাগীর গোরস্থানে তাঁর পিতার পাশে দাফন করা হয়।