"তুমি সেই রাজা তুমি সেই রানী" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: এ বইয়ের ইতিকথাটা এক নিঃশ্বাসে’ এভাবে বলে শেষ করে দেয়া যায়কোনাে দূর মুলুকে নয়, আমাদেরই প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক মনীষী জন্মেছিলেন। আবদুল মাজেদ দরিয়াবাদী। অনেক বড় আলেম তিনি। অনেক উচ্চ পর্যায়ের লেখক-সাহিত্যিক তিনি। সর্ব মহলে গ্রহণযােগ্য ও সমাদৃত তাফসির গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। হযরত থানভী রহ.-এর সান্নিধ্যধন্য ব্যক্তি তিনি। তিনি তাঁর তিন মেয়ে এবং এক ভাতিজীর বিবাহ অনুষ্ঠানে নব-দম্পতি বর-বধূ এবং উপস্থিত মজলিসকে লক্ষ্য করে যেবিরল, ব্যতিক্রমী ও সােনার হরফে লিখে রাখার মতাে ভাষণ দিয়েছিলেন, এ-বই তারই সংকলন। প্রিয় পাঠক! এ-বইয়ের কলেবর অনেক ছােট হলেও এর বিষয় অনেক বড়। কেননা এবইয়ে দাম্পত্য-জীবনের মূল সংবিধানটা কী— তাই বলে দেয়া হয়েছে গল্পের ভাষায় .. উপন্যাসের মজায় .. উন্নত সাহিত্য শৈলীর আবেগপ্লাবিত ধারায়। যে সংবিধান পড়লে এবং মানলে দাম্পত্য-জীবন আমূল বদলে যাবে। জীবন আবার নতুন হয়ে যাবে। সুখ-আনন্দ আবার নতুন করে বাসা বাঁধবে। প্রাপ্তি ও ফলাফলও আবার নতুন হয়ে যাবে। অর্থাৎ দাম্পত্যজীবনের বিষ-ছড়ানাে কাঁটা বদলে যাবে ফুলে .. দাম্পত্য-জীবনের ঊষর প্রাণহীন মরু বদলে যাবে উচ্ছল ঝরনাধারায়।.. দাম্পত্য-জীবনকে আচ্ছন্ন ও মেঘলা করে রাখে যদি ছােট ছােট দুঃখকণা, সেগুলিও বদলে যাবে সুখআনন্দের মহাকাব্যগাথায়। ভাের না-হতে-চাওয়া দুঃসহ কালাে রাতগুলিও হয়ে যাবে ‘সেই ফেলে আসা কিংবা হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নীল বাসর রাতের মতো আনন্দঘন, মধুময়।