যে কথা না বললেই নয় সকল স্তুতি ও সহস্র সিজদা সেই মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্দুল আলামীনের কুদরতি কদমে। যিনি মানুষকে শিখিয়েছেন যা সে জানত না। তিনিই প্রথম শিক্ষক। আর শিক্ষাদানের জন্য প্রথমেই সৃষ্টি করেন কলম। দরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, রাসূলে কারীম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। যিনি সত্যের পথে মিথ্যার বিরুদ্ধে কলম ব্যবহারকে আখ্যায়িত করেছেন। জিহাদ বলে। মাগফিরাত কামনা করি সমস্ত সাহাবায়ে আজমাইন ও শহীদানের পবিত্র রূহের। যাদের তাজা রক্ত ও শাহাদাতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি ইসলাম নামের মহান দৌলত। আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে বাংলা সাহিত্যে ইসলাম চর্চায় দীনদার লেখকদের উপস্থিতি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এখন আমাদের মাঝে রয়েছেন আল্লামা আবু তাহের মেছবাহ দা. বা. এর মতাে দক্ষ সাহিত্যিক, মাওলানা উবায়দুর রহমান খাঁন নদভী দা, বা, এর মতাে যােগ্য সাংবাদিক। আরও আছেন হাজার হাজার কলম সৈনিক, যাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন মুফতী আবুল হাসান শামশাবাদীর মতাে সাহসি সিপাহসালারগণ। এখন ইসলামী বই-পুস্তকের সংখ্যা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যার দ্বারা পৃথক ‘ইসলামী বইমেলা করা সম্ভব। এই বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডার ইসলামের ব্যাপারে সমালােচকদের মুখ কিছুটা হলেও বন্ধ করতে পেরেছে। যদিও বাংলা সাহিত্যের পাঠকপাঠিকা মূলত গল্প-উপন্যাসের। এ ব্যাপারটিকে পুঁজি করে অপসাহিত্যিকরা তৈরি করে চলেছেন একের পর এক দীনী শিক্ষাসংস্কৃতি বিহীন গল্প, উপন্যাস। সাহিত্যের পবিত্র অঙ্গন হচ্ছে অপবিত্র। যা পড়ে তরুণ প্রজন্ম হারিয়ে ফেলছে তাদের প্রকৃত পরিচয়, ভুলে যাচ্ছে তারা মুসলিম পরিবারের সন্তান।