"আল-কুরআন ও হাদীসে বৈজ্ঞানিক নির্দেশনা" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ আল-কুরআন প্রথাসিদ্ধ কোনাে বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ নয়, ফলে এতে অধ্যায় ও বিষয় বিন্যাস করে বিন্যস্ত আকারে কোনাে বৈজ্ঞানিক আলােচনা উপস্থাপিত হয়নি। এখানে বিজ্ঞান সম্পর্কিত আলােচনা এসেছে প্রসঙ্গত। বিস্ময়কর ব্যাপার হলাে, এই প্রাসঙ্গিক আলােচনার ধারাতে আল-কুরআনে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে এমন অভাবনীয় তথ্য ও তত্ত্বের সমাবেশ ঘটানাে হয়েছে, এমন কালজয়ী আবিষ্কারের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে অদ্যাবধি বিজ্ঞানীগণ যার অনেক কিছুই এখনও পুরােপুরি আত্মস্থ করতে সক্ষম হননি। গবেষকগণ অত্যন্ত যৌক্তিকভাবেই তাই দাবি করেছেন, কুরআনিক বিজ্ঞানই চূড়ান্ত বিজ্ঞান। মানুষের সর্ববিধ কল্যাণ ও শান্তি তাই এর নির্দেশিত বিজ্ঞান চর্চার মধ্যেই নিহিত থাকবে। একইভাবে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে বলা যায়, তিনিও সংজ্ঞাভুক্ত কোনাে বৈজ্ঞানিক নন। মানব জাতির সামগ্রিক কল্যাণ ও সর্বাত্মক মুক্তি নিশ্চিত করার অভ্রান্ত নির্দেশনা প্রদানই তার একমাত্র কাজ ছিল। এ কাজের অংশ হিসেবে তিনি আল-কুরআন ব্যাখ্যা করেছেন এবং এ কাজ করতে গিয়ে যথারীতি এক অবিস্মরণীয় বৈজ্ঞানিক ধারার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। অসংখ্য নতুন ধারার চিন্তা ও নির্দেশনায় জ্ঞানীদের বিমােহিত করেছেন। যে কারণে আল-কুরআনের পর আল-হাদীস বৈজ্ঞানিক নির্দেশনার অফুরন্ত উৎসে পরিণত হয়েছে। আলােচ্য গ্রন্থে এ নির্দেশনাসমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।