‘দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ?’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ গত দু দশকের সেরা সাড়া-জাগানো বই এরিক ফন দানিকেনের Erinnerugen an die zukunft গ্রন্থের অনুবাদ ‘দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ?’ প্রথম প্রকাশ পশ্চিম জার্মানীতে ১৯৬৮ সালে। ইতিমধ্যে পৃথিবীর ০৭টি ভাষায় অনুদিত । সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অদ্ভুত, অসম্ভব সব বিবরণ, বস্তু এবং ধ্বংসাবশেষ, যাদের ব্যাখ্যা প্রত্নতত্ত্ব, ইতহাস, কিম্বা ধর্মের গতানুগতিক ধারায় দেওয়া সম্ভব হয়নি । পৃথিবীর সমস্ত ধর্মপুস্তকে রয়েছে অগ্নিগর্ভ রথে ‘দেবতাদের’ মর্তে আগমনের নানানতরে বিবরণ্ আরো রয়েছে, তাঁদের পুনরাগমনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কেন? নান সংস্কৃত পুথিতে কেমন করে লেখা হল মহাকাশযানের ভ্রমণের কাথা? মধ্যাকর্ষণের কথা? মহাকাশযাত্রাকালে যে জাগতিক এবং মহা-জাগতিক সময়ের মাঝে বিরাট তারতম্য ঘটে, এই সেদিন আইনস্টাইন যার সুত্র আবিষ্কার করেছন, সেই time dilation এর খবর মহাভারতের কাহিনীকার জানলেন কেমন করে? কোথা থেকেই বা জানলেন তেজস্ক্রিয়তার কথা, যার কথা অ্যাটম বোম ফাটানোর আগে আমরা কল্পনাই করেত পারিনি? পেরুতে চারতলা বাড়ির সমান, কারুকার্যমন্ডিত বিশাল যে শিলাখন্ডটি বর্তমান, ওজন যার প্রায় ২০,০০০ টন, তারিই বা কী ব্যাখ্যা? শুধু তাই নয়, কোন মহাশক্তির সাহায্যে ওই বিশাল প্রস্তর খন্ডকে তুলে উল্টে বসানো হয়েছিল? সতেরো দশকে পাওয়া পীরি রইসের ম্যাপগুলোতে কি সত্যিই দক্ষিণমেরুর উপকূলভাগ অঙ্কিত রয়েছে? ইতহাসের কালে তো দক্ষিণমেরু কোনদিন তুষার মুক্ত ছিল না!
সুচিপত্র * ভূমিকা ৯ * মহাবিশ্বে কি বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব আছে? ১১ * পুষ্পক যেদিন নামলো ১৬ * অব্যাখ্যাত রহস্যপুঞ্জ ২১ * দেবতা, না নভশ্চর? ৩৮ * অগ্নিগর্ভ পুষ্পক নেমে এলো স্বর্গ থেকে ৪৬ * আদিম কল্পনা, পুরাণকাহিনী, না প্রাচীন ঘটনা? ৫৪ * প্রাচীন বিস্ময়, না নভশ্চারণ-কেন্দ্র? ৬৯ * পক্ষী-মানবের দেশ ঈস্টার দ্বীপ ৯৭ * দক্ষিণ আমেরিকার রহস্য ১০২ * আকাশের অভিজ্ঞতা ১১১ * প্রত্যক্ষ সংযোগ সন্ধানে ১২৯ * আগামী ১৪৪