"বিশ্বের সেরা রহস্য উপন্যাস : ১৪ দ্য গান উইথ উইংস" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উঘাটনে সাধারণত আইন প্রয়ােগকারী সংস্থা বিশেষ করে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। অন্তত আমাদের দেশে সেটিই নিয়ম। পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত, সুরহাল রিপাের্ট, ডাক্তারি রিপাের্টের ব্যবস্থা করেন। হত্যকাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করে ঘটনাস্থলেন জব্দ তালিকা, খসড়া মানচিত্র, সূচিপত্র অঙ্কন করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬১ ধারার বিধান অনুযায়ী সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। প্রয়ােজনে বিশেষ, পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন। মােদ্দাকথা, পুলিশকেই সকল দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর অন্য কেউ নন। কিন্তু উন্নত বিশ্বে পুলিশের এই কার্যক্রমের সঙ্গী হতে পারেন পত্র-পত্রিকার অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক, টেলিভিশন রিপাের্টার থেকে শুরু করে প্রাইভেট গােয়েন্দা সংস্থা পর্যন্ত। এরকমই একটি ঘটনার অবতারণা করেছেন আমেরিকার প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক রেক্স স্টাউট তাঁর বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানাে রহস্য উপন্যাস ‘দ্য গান উইথ উইংস'-এ। এখানে নেরাে উফ প্রাইভেট গােয়েন্দা সংস্থার প্রধান। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গােয়েন্দা বুদ্ধিজীবি হিসেবে তার খ্যাতি আছে। তিনি বিখ্যাত সংগীত শিল্পী অ্যালবার্টো মিয়ােনের কথিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মােচনের দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি পুলিশের তদন্তের কাজেও সহয়তা করেন। অবশ্য, গােয়েন্দা বুদ্ধিজীবী নেরাে উলফ এই কথিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে যুক্ত হয়েছেন মৃত সংগীত শিল্পী অ্যালবার্টো মিয়ােনের স্ত্রী মিসেস মিয়ােনের অনুরােধে। মিসেস মিয়ােন তাঁকে পারিশ্রমিকও দিয়েছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, গােয়েন্দা নেরাে উলফ এই কথিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনে সফল হয়েছেন? না কি ব্যর্থ হয়েছেন? আসলে কে অ্যালবার্টো মিয়ােনকে হত্যা করেছে? এটা কী হত্যা না কী আত্মহত্যা? এর সবকিছুরই উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে ‘দ্য গান উইথ উইংস’-এ। টানটান উত্তেজনা আর দুর্দান্ত থ্রিলে ভরা বিশ্বের অন্যতম সেরা রহস্যোপন্যাস ‘দ্য গান উইথ উইংস’ পাঠকমনকে আকৃষ্ট করতে বাধ্য।