ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সত্যনিষ্ঠা সাংবাদিকতা করার অপরাধে(!) আইন বহির্ভূতভাবে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে। রক্তচক্ষু, প্রলোভন, নিপীড়ন সত্ত্বেও আপোস করেননি। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, আত্মমর্যাদার প্রশ্নে তিনি সৃদৃঢ়, অবিচল। নতুন যুগের নকিব তিনি। দুঃসাহসী এই কলমযোদ্ধার নাম মাহমুদুর রহমান। তাঁর শাণিত কলাম, মন্তব্য প্রতিবেদন অকাট্য যুক্তিতে সমৃদ্ধ। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে ভিন্ন মত পোষন করতে পারেন, কিন্তু যুক্তিনিষ্ঠ বিবেকবান সচেতন যে কোনো মানুষ তাঁর বক্তব্যের ঋজুতা ও উপস্থাপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে পারেন না। সত্য প্রকাশে অঙ্কীকারবদ্ধ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের লেখা শুধুই তথ্য উপাত্ত, যুক্তি তর্ক বিশ্লেষণে কন্টকিত নয়। সাহিত্যের প্রসাদগুণে সিঞ্চিত বলে তা মনস্ক পাঠককে ভাবিত করে। চিন্তার উম্মীলন ঘটানোর পাশাপাশি তা পাঠককে ক্ষুদ্ধ ক্রুদ্ধ ব্যথিত করে তোলে এখানেই সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের লেখার সার্থকতা। অল্প কয়েক বছরের লেখালেখি-জীবনে তিনি জাতির ঘুমন্ত বিবেককে সাফল্যের সঙ্গে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন। গভীর দেশপ্রেমের উজ্জীবন ঘটানোই তাঁর লেখার মূল উদ্দেশ্য। ‘কার মান কখন যায়’ বইটি বাংলাদেশের কলাম সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য ও উজ্জ্বল সংযোজন।
Mahmudur Rahman মাহমুদুর রহমানের জন্ম পুরনো ঢাকার গেণ্ডারিয়ায়, ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই । দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক । বর্তমান সময়ে দেশের জনপ্ৰিয় কলাম লেখক । তার কলম থেকে আগুন ঝরে। এই সাহসী কলম সৈনিক তার দৃঢ়, আপসহীন মনোভাবের জন্য কারাভোগ করেছেন । বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ এবং জাপানে সিরামিকস-এ উচ্চতর ডিপ্লোমা করেছেন । বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ছিলেন । বাংলাদেশের অন্যতম অগ্ৰণী একজন শিল্প উদ্যোক্তা । সিরামিকস সামগ্ৰী তৈরি এবং তা বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব। তাঁর বলিষ্ঠ ও সুযোগ্য সম্পাদনায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা মানবাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমতত্ত্ব, জাতীয় স্বার্থ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।